কুমিল্লার হোমনায় মাজার ভাঙচুর ও আগুনের ঘটনায় অজ্ঞাতনামা দুই হাজার ২০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
শুক্রবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ রফিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
রফিকুল ইসলাম জানান, এলাকায় এখনও থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) মুহাম্মদ (স.) সম্পর্কে কটূক্তির অভিযোগে গ্রেপ্তার মহসিনের দাদা কফিল শাহ মাজার ও তার পরিবারের বাড়িঘর ভাঙচুর করে আগুন দেয় বিক্ষুব্ধ জনতা। এ সময় তারা ওই এলাকার আরও তিনটি মাজার ভাঙচুর করেন। পরে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে আগুন নেভান।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মহসিনের পরিবারের বাড়িঘর ভাঙচুরের পর আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। এ ছাড়া মহসিনের দাদা কফিল উদ্দিন শাহের নামে প্রতিষ্ঠিত একটি মাজারসহ আরও তিনটি মাজারে হামলা চালানো হয়। এগুলো হলো- কালু শাহ, হাওয়ালী শাহ (বাবুল) ও আবদু শাহ মাজার।
তারা আরও জানান, মাজারকে কেন্দ্র করে নিয়মিত মাদকের আড্ডা ও শরিয়তবিরোধী নানা কাজকর্ম চলত। খবর পেয়ে পুলিশ, সেনাবাহিনী ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছান। এ সময় কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান, হোমনা সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আব্দুল করিম, দাউদকান্দি সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. ফয়সাল তানভীর, ইউএনও ক্ষেমালিকা চাকমা স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। তারা আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার আহ্বান জানান।
প্রসঙ্গত, বুধবার উপজেলার আসাদপুর ইউনিয়নের আলেক শাহের ছেলে মহসিন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মুহাম্মদ (স.) সম্পর্কে কটূক্তি করেন। এ নিয়ে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়ে। পুলিশ সেদিনই তাকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লা জেলা কারাগারে পাঠায়।
আরবি