ময়মনসিংহ সদর উপজেলার খাদ্যবান্ধব লটারি অনুষ্ঠান বর্জন করেছে জামায়াত, বিএনপির নেতাকর্মীরা। এ সময় লটারির নামে ফ্যাসিস্টদের সুবিধা পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগে হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) দুপুর ১২টায় ময়মনসিংহ সদর উপজেলা পরিষদের হল রুমে এই হট্টগোল ও বিশৃঙ্খলার ঘটনা ঘটে।
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় সদর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে খাদ্যবান্ধব ডিলার নিয়োগে দাখিলকৃত আবেদন যাছাই বাছাই করে উন্মুক্ত লটারি অনুষ্ঠান শুরু হয়।
অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির সভাপতি মো. আরিফুল ইসলাম প্রিন্স জানান, উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে মোট আবেদন হয়েছিল ২৬৮টি। এর মধ্যে যাছাই বাছাই শেষে ১৩২টি আবেদন বৈধ ঘোষণা করা হয়। এ থেকে লটারির মাধ্যমে উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে মোট ৫৫ জন ডিলার নিয়োগ দেওয়া কথা বলা হয়।
তবে বৈধ ঘোষিত আবেদনকারীদের মধ্যে ফ্যাসিস্টের পদধারী নেতাকর্মী ও সুবিধাভোগীরা রয়েছে জানিয়ে অনুষ্ঠান বর্জনের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মহানগর জামায়াতে ইসলামির সেক্রেটারি মো. শহীদুল্লাহ কায়ছার। তিনি বলেন, ঘোষিত তালিকা থেকে ফ্যাসিস্টদের বাদ দিয়ে নতুন করে তালিকা প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। তখন লটারি হলে আমাদের কোনো আপত্তি নেই।
কোতোয়ালি বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. হেলাল আহমেদ বলেন, খাদ্যবান্ধব উন্মুক্ত লটারি কর্মসূচিতে ফ্যাসিস্টদের অর্ন্তভুক্তি করার অপকৌশল। ফ্যাসিস্টদের বাদ দিয়ে যাছাই বাছাই করে ডিলার নিয়োগ করতে হবে।
এদিকে জামায়াত ও বিএনপি লটারি অনুষ্ঠান বর্জনের কারণে হল রুম ফাঁকা হয়ে যায়। এতে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে আসেন কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শিবিরুল ইসলাম।
এ সময় ওসি বলেন, সরকারি দপ্তরে কোনো দাবি বা আপত্তি থাকলে তা আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে হবে। কিন্তু আন্দোলনের নামে হট্টগোল বা মব সৃষ্টি করে কোনো কিছু আদায় করা যাবে না। সরকারি কার্যালয় সংরক্ষিত এলাকা।
এর আগে ঘটনাস্থলে এসে ওসি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে মধ্যস্থতার চেষ্টায় ব্যর্থ হন। অনুষ্ঠানে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সৈয়দ তামান্না হোরায়রা, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক মো. রেজাউল ইসলামসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরএ