ঢাকা, রবিবার, ১ আষাঢ় ১৪৩২, ১৫ জুন ২০২৫, ১৮ জিলহজ ১৪৪৬

সারাদেশ

সিগারেট না দেওয়ায় যুবক খুন, দেড় বছর পর রহস্য উদঘাটন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯:২৫, জুন ১৪, ২০২৫
সিগারেট না দেওয়ায় যুবক খুন, দেড় বছর পর রহস্য উদঘাটন

নোয়াখালী: নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলায় দেড় বছর আগের একটি ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদ্‌ঘাটন করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় জড়িত আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

  

শনিবার (১৪ জুন) কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিমল কর্মকার গণমাধ্যমকে জানান, গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আসামি নুরুল আলম রনি (২৭) দোষ স্বীকার করে স্বেচ্ছায় আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।

নুরুল আলম উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের রংমালা বাজার এলাকার সফিকুল আলম বাহারের ছেলে। হত্যাকাণ্ডের শিকার মো. শরীফ (২৫) একই উপজেলার রামপুর ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের আব্দুল আজিজ মুন্সিবাড়ির জাফর আহম্মেদ ওরফে মিয়া মিস্ত্রির ছেলে। শরীফ শারীরিক প্রতিবন্ধী ছিল।  

পুলিশ জানায়, ২০২৪ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টার দিকে শরীফের কাছে একটি সিগারেট চায় রনি। রনিকে সিগারেট না দেওয়ায় তাদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়। ওই সময় রনির কাছে টাকা না থাকায় তিনি সিগারেট কিনতে পারেনি। এরপর তিনি বাড়িতে গিয়ে টাকা এনে রংমালা বাজারের হিন্দু পাড়ার হরির দোকান থেকে সিগারেট কিনেন। এক পর্যায়ে রনি তাদের বাড়ির পুকুর ঘাটে বসে ধূমপান শুরু করে। এর মধ্যে রনিকে দেখে শরীফ সেখানে যান। পুকুর ঘাটে তারা আবার বাগবিতণ্ডায় জড়ায়। সেখান থেকে শরীফকে রংমালা দারুল উলুম মাদরাসার পিছনে নিয়ে বেধড়ক মারধর করে রনি। এতে শরীফ অজ্ঞান হয়ে পড়লে রনি তাকে লতাপাতা দিয়ে ঢেকে রেখে চলে আসে। ৭ দিন পর মরদেহ পচে দুর্গন্ধ ছড়ালে স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দেন। পরে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে।

পুলিশ আরও জানায়, ঘটনার পর রনি আর বাড়িতে যায়নি। ওই দিন সারারাত পুকুর ঘাটে বসে ছিল। পরের দিন চট্টগ্রাম চলে যায়। সেখানে ফুটপাতে শরীফের মোবাইল ফোন এক ব্যক্তির কাছে ৩ হাজার ৫০০ টাকায় বিক্রি করে দেয়। এ ঘটনায় প্রথমে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়। এরপর ময়না তদন্তের প্রতিবেদন এলে ২০২৪ সালের ১৪ ডিসেম্বর পুলিশ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিমল কর্মকার ও উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. মহসিন মোবাইলের সূত্রধরে হত্যার রহস্য উদ্‌ঘাটন করে এবং আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়।              

কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) বিমল কর্মকার আরও জানান, মোবাইলের সূত্র ধরেই দীর্ঘ অনুসন্ধানে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচন করা হয়েছে। আসামিকে আদালতে হাজির করা হলে সে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়। এরপর আদালত থেকে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়।


এমইউএম/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।