কোরবানির ঈদে পশুর চাহিদা মেটাতে বরিশাল বিভাগে বসেছে ৩২৮টি হাট। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় ৯৩টি।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল অঞ্চলের হাটগুলোতে এখনও তেমন বিক্রি শুরু হয়নি। তবে হাটে ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণ এবং পরিবহনকালে চাঁদাবাজি ঠেকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে নেওয়া হয়েছে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
হাটগুলোতে মানসম্মত পশু বিক্রি নিশ্চিত করতে বিভাগের ছয় জেলায় ১৩৬টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম কাজ শুরু করেছে। এর মধ্যে বরিশাল জেলায় ৩১টি ভেটেরিনারি মেডিকেল টিম গঠন করেছে জেলা প্রাণিসম্পদ বিভাগ। এ ছাড়া সিটি এলাকার স্থায়ী এবং অস্থায়ী মিলিয়ে চারটি হাটে কাজ করছে সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগ।
তথ্য অনুযায়ী, এবার মহানগরসহ বরিশাল জেলায় কোরবানি উপলক্ষে ৭৯টি অস্থায়ী পশুর হাট বসছে। এ ছাড়া জেলায় আরও ১৪টি স্থায়ী হাট বসবে। ফলে স্থায়ী ও অস্থায়ী মিলিয়ে মোট ৯৩টি হাট মিলবে বরিশাল নগরসহ পুরো জেলায়। এর মধ্যে বরিশাল নগরের রূপাতলী, কালিজিরা বাজার ও কাগাশুরায় তিনটি অস্থায়ী ও বাঘিয়া এলাকায় একটি স্থায়ী হাট বসবে। পুরো বরিশাল বিভাগের ছয় জেলায় পশুর হাট বসছে ৩২৮টি।
বরিশাল জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, মানসম্মত পশু নিশ্চিত করতে প্রতিটি হাটের জন্য একটি করে টিম এরইমধ্যে কাজ শুরু দিয়েছে। এ বছর বরিশাল বিভাগে পশুর চাহিদা রয়েছে চার লাখ ৩২ হাজার ৬১১টি। এ চাহিদা স্থানীয়ভাবে পূরণ হয়ে পশু উদ্বৃত্ত থাকবে।
বরিশালের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ও জেলার স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক লুচিকান্ত হাজং জানিয়েছেন, হাটগুলো পশু, ক্রেতা ও বিক্রেতাদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কাজ করছে জেলা এবং মহানগর পুলিশ। প্রতিটি হাটেই পুলিশের কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে।
এমএস/আরএইচ