মাগুরায় শিশু আছিয়া ধর্ষণ ও হত্যা মামলার ৬ষ্ঠ দিনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। এদিন সাক্ষ্য দিয়েছেন ম্যাজিস্ট্রেট ও এসআইসহ চারজন।
সোমবার (৫ মে) সকাল ১১টায় জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক এম জাহিদ হাসানের আদালতে শুরু হয় সাক্ষ্যগ্রহণ। মামলার শুনানি শেষ হয় দুপুর ১টায়।
৬ষ্ঠ দিনে সাক্ষ্য দিয়েছেন-আছিয়ার মরদেহের সুরতহাল করা গুলশান থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আঞ্জুমান আরা, সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট সব্যসাচী রায়, মামলার রেকর্ডিং অফিসার মাগুরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আইয়ুব আলী, মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আলাউদ্দিন। এ নিয়ে মামলায় ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হলো।
আগামীকাল (মঙ্গলবার) ঢাকা মেডিকেলের দুইজন চিকিৎসকের সাক্ষ্যগ্রহণের কথা রয়েছে। এর আগে জেলা কারাগার থেকে সব আসামিদের আদালতে আনা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মনিরুল ইসলাম মুকুল বলেন, মাগুরার চাঞ্চল্যকর আছিয়া হত্যা মামলার বিচারকাজ চলছে। আজকে সাক্ষ্যগ্রহণের দিন ধার্য ছিল। আদালতে মোট ২৭ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ হয়েছে। আজ ৫ মে চারজন সাক্ষীকে আদালতে উপস্থাপন করা হয়েছে। আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করেছেন। এ মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছে রেকর্ডিং অফিসার, আইও যিনি এ মামলার তদন্ত করেছেন, ম্যাজিস্ট্রেট যিনি ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি গ্রহণ করেছেন। যিনি আছিয়ার সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত করেছেন সেই ডাক্তার আঞ্জুমান আরা, তিনি ঢাকা থেকে এসেছিলেন। এই চারজন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
পুনরায় আগামীকাল ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগের চিফ মমতাজ আরাকে ডাকা হয়েছে। আগামীকাল শুনানির জন্য দিন ধার্য আছে। আমরা আশা করছি অতি অল্প সময়ে এই মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করে ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠা করতে পারব।
রমজানের ছুটিতে শহরের নিজনান্দুয়ালী এলাকায় বোনের বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে গত ৫ মার্চ রাতে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। বোনের শ্বশুর হিটু শেখ মেয়েটিকে শুধু ধর্ষণই করেননি, হত্যারও চেষ্টা চালিয়েছেন। এ ঘটনায় হিটু শেখকে প্রধান আসামি করে মামলা করেন মেয়েটির মা।
ঘটনার পর শিশুটিকে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা সদর হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় ফদিরপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। পরে পাঠানো হয় ঢাকায়। ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গত ১৩ মার্চ সে মারা যায়।
এ মামলায় আদালতে পুলিশের দাখিল করা চার্জশিটে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় হিটু শেখকে প্রধান অভিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া শিশুটির বোনের স্বামী সজীব শেখ ও তার ভাই রাতুল শেখকে ভয়ভীতি দেখানো এবং বোনের শাশুড়ি জাহেদা বেগমকে তথ্য গোপনের অভিযোগে অভিভুক্ত করা হয়েছে।
আরএ