ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৭ কার্তিক ১৪৩২, ২৩ অক্টোবর ২০২৫, ০১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৭

আগরতলা

রাজনীতিতে এখনও পিছিয়ে ত্রিপুরার নারীরা

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩:২৪, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
রাজনীতিতে এখনও পিছিয়ে ত্রিপুরার নারীরা রাজনীতিতে এখনও পিছিয়ে ত্রিপুরার নারীরা (প্রতীকী ছবি)

আগরতলা: ভারতজুড়ে এখন নারীর ক্ষমতায়নে জোর দেওয়া হচ্ছে। এমনকি সংসদেও নারীদের জন্য ৩৩ শতাংশ আসন সংরক্ষণ করার জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। এই দাবিতে এগিয়ে এসেছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলসহ স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন।

তবে এ হাওয়া লাগেনি ত্রিপুরার নারীদের মধ্যে। ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে দেখা গেছে নারী প্রার্থীদের সংখ্যা অত্যন্ত নগন্য।

 

সদ্য সমাপ্ত ত্রিপুরা বিধানসভা নির্বাচনে মোট ৬০টি আসনের মধ্যে ৫৯টি আসনে শাসক বামফ্রন্ট, বিজেপি, কংগ্রেস, অন্য রাজনৈতিক দলসহ মোট প্রার্থী ছিলেন ২৯২ জন। এর মধ্যে মাত্র ২০ জন প্রার্থী ছিলেন নারী।  

বাকি ১৯ নম্বর চড়িলাম বিধানসভা আসনটির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ১২ মার্চ। এই আসনেও নেই কোনো নারী প্রার্থী।

এ বিষয়ে ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেস দলের মুখপাত্র কমিটির সদস্য তাপস দেব বাংলানিউজকে জানান, তাদের দল নারীদের উপর আস্থা রাখে। তাই রাজ্যের অন্য রাজনৈতিক দলের চেয়ে অনেক বেশি প্রার্থী দিয়েছে তার দল।  

এবছর কংগ্রেস মোট ৬ নারী প্রার্থীকে মনোনয়ন দিয়েছে। অন্যদিকে শাসক সিপিআই (এম) দলও মোট ৬টি আসনে নারী প্রার্থী দিয়েছে।  

রাজ্যের প্রধান বিরোধী বিজেপির সভাপতি বিপ্লব কুমার দেব সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, তাদের দল বিষয়টিকে এভাবে দেখছে না। বিধানসভা আসনে যাকে যোগ্য বলে মনে করেছে দল তাকে মনোনয়ন দিয়েছে।

ত্রিপুরা প্রদেশ বিজেপির মহিলা মোর্চার সভানেত্রী পাপিয়া দত্ত এ বিষয়ে বাংলানিউজকে বলেন, আমাদের সমাজে যদিও নারী-পুরুষকে সমান অধিকারী বলা হয়, কিন্তু বাস্তবে তা কার্যকর হয়নি। তাই নারীদের এখনও পিছিয়ে রাখা হয়।  

এ বিষয়ে সমাজসেবী ডা. রাখী দেববর্মা বাংলানিউজকে জানান, রাজনৈতিক দলের প্রার্থী হিসেবে নারীদের সংখ্যা অনেক কম হওয়ার পেছনে বেশ কিছু কারণ রয়েছে। ত্রিপুরা রাজ্যের সমাজব্যবস্থা পুরুষতান্ত্রিক। রাজনীতিতে আসার ক্ষেত্রে পরিবার তেমন সহায়তা করে না। এর কারণ পরিবারের লোকদের ভয় রাজনৈতিক কাজে প্রায় ঝামেলা লেগেই থাকে। তাই নারীরা অহেতুক ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ুক তা তারা চান না। বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পুরুষ নেতারা ভাবেন নারীরা সঠিকভাবে দলের কাজ সম্পন্ন করতে পারবেন না। নারীদের দায়িত্ব দিলে দলের ক্ষতি হবে বলে তাদের মধ্যে একটা ভয় কাজ করে।  

এ বিষয়ে ডা. রাখী দেববর্মা আরও বলেন, ত্রিপুরা রাজ্যের মেয়েরা ডাক্তারি, ইঞ্জিনিয়ারিংসহ অন্য বিষয় নিয়ে পড়াশুনায় আগ্রহী। তারা রাজনীতি নিয়ে পড়াশুনায় আগ্রহী নয়। এ বিষয়ে জ্ঞান কম থাকায় তারা রাজনীতির গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আসতে পারছেন না।  

তবে এবছর বেশি নারী প্রার্থী না হলেও নির্বাচনে বিভিন্ন দলে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে তারা। আগামীতে এই অবস্থার উত্তরণ ঘটবে বলেও আশা করেন তিনি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৯২৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২০, ২০১৮
এসসিএন/আরআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।