ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৯ মে ২০২৫, ০১ জিলহজ ১৪৪৬

শেয়ারবাজার

বিও ফি ৪৫০ থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকা করলো বিএসইসি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৩৯, মে ২৭, ২০২৫
বিও ফি ৪৫০ থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকা করলো বিএসইসি

ঢাকা: বেনিফিশিয়ারি ওনার্স (বিও) হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ফি ৪৫০ টাকা থেকে কমিয়ে ১৫০ টাকা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

মঙ্গলবার (২৭ মে) বিএসইসির ৯৫৬তম কমিশন সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বিএসইসির পরিচালক ও মুখপাত্র মো. আবুল কালাম স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বর্তমানে প্রতি বছর ৪৫০ টাকা হারে আদায় করা বিও হিসাব ফি কমিয়ে ১৫০ টাকা নির্ধারণ করা হবে। দ্রুত এ বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কার্যকর করা হবে।

একই সভায় আরও সিদ্ধান্ত হয়েছে, সমন্বিত গ্রাহক হিসাব (সিসিএ) থেকে অর্জিত সুদ আয়ের ২৫ শতাংশ স্টক এক্সচেঞ্জের ইনভেস্টরস প্রটেকশন ফান্ডে জমা দিয়ে বাকি অর্থ ব্রোকাররা ব্যবহার করতে পারবে।

সভায় বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ২৭ লাখ ২৮ হাজার ১১১টি সাধারণ শেয়ার, প্রতিটি ১ হাজার ১১০ টাকা মূল্যে (প্রতিটি শেয়ারে ১১০০ টাকা প্রিমিয়ামসহ), ১:১ হারে রাইটস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে (উদ্যোক্তা, পরিচালক ও ৫ শতাংশ বা তার অধিক শেয়ারধারকগণ কর্তৃক রাইটস শেয়ার পরিত্যাগের পর) মোট তিনশো দুই কোটি আটাশ লাখ দুই হাজার দুইশ দশ (৩,০২৮,২০৩,২১০) টাকা মূলধন সংগ্রহের আবেদন কমিশন অনুমোদন করেছে। এ রাইটস শেয়ার ইস্যু থেকে সংগৃহীত অর্থ ন্যাশনাল স্পেশাল ইকোনোমিক জোনে তৃতীয় কারখানা স্থাপন এবং রাইট ইস্যু সংক্রান্ত খরচ মেটাতে ব্যবহার করা হবে। এই ইস্যুতে আইডিএলসি ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড ইস্যু ব্যবস্থাপকের দায়িত্ব পালন করছে।

অন্যদিকে, দাখিলকৃত দলিলাদি সন্তোষজনক না হওয়ায় সার্বিক দিক বিবেচনায় জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেডের ১০ টাকা অভিহিত মূল্যের ষোল কোটি বারো লাখ চৌদ্দ হাজার চারশো পঁচাশিটি (১৬,১২,১৪,৪৮৫) সাধারণ শেয়ার, প্রতিটি ১৫ টাকা মূল্যে (প্রতিটি শেয়ারে ৫ টাকা প্রিমিয়ামসহ), ১:৩ হারে রাইটস শেয়ার ইস্যুর মাধ্যমে মোট দুইশো একচল্লিশ কোটি চুরানব্বই লাখ সতেরো হাজার দুইশ পঁচাত্তর (২৪১,৯৪,১৭,২৭৫) টাকা মূলধন সংগ্রহের আবেদন অনুমোদন করা হয়নি।

সভায় পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত জেড ক্যাটাগরির কোম্পানিসমূহ এবং যেসকল কোম্পানিতে স্পন্সর ও ডিরেক্টরদের যৌথভাবে ৩০ শতাংশের নিচে শেয়ার হোল্ডিং বিদ্যমান, সেগুলোকে ‘কর্পোরেট গভার্নেন্স কোড, ২০১৮’ পরিপালন করে স্বতন্ত্র পরিচালক নিয়োগের ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া পুঁজিবাজারের উন্নয়ন ও সুশাসন নিশ্চিত করতে বিএসইসি গঠিত ‘পুঁজিবাজার সংস্কার টাস্কফোর্স’ কর্তৃক সিকিউরিটিজ ও এক্সচেঞ্জ কমিশন (মিউচ্যুয়াল ফান্ড) বিধিমালা এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (পাবলিক ইস্যু) রুলসের বিষয়ে পেশকৃত চূড়ান্ত সুপারিশমালার আইনি প্রক্রিয়া শুরু করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। এর মাধ্যমে পুঁজিবাজারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ও জরুরি দুটি সংস্কারের আইনি প্রক্রিয়া শুরু হলো। ফলে মিউচ্যুয়াল ফান্ড এবং আইপিও অনুমোদন প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও দায়বদ্ধতা বৃদ্ধি পাবে, যা বিনিয়োগকারীদের আস্থা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখবে। এই সংস্কারের মাধ্যমে ভবিষ্যতে ভালো ও মৌলিক ভিত্তিসম্পন্ন কোম্পানিসমূহ পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তিতে উৎসাহিত হবে এবং দেশের মিউচ্যুয়াল ফান্ড খাতের টেকসই উন্নয়নও নিশ্চিত হবে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এসএমএকে/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।