সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে অতর্কিত অভিযান চালিয়ে ঢের অনিয়ম পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) সিলেট সমন্বিত কার্যালয়ের তদন্ত দল।
হাসপাতালের সেবা নিয়ে বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতেই বুধবার (১০ সেপ্টেম্বর) অভিযান চালায় দুদক।
দুদক সিলেট কার্যালয়ের সহকারি পরিচালক জুয়েল মজুমদারের নেতৃত্বে একটি দল হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ড, ওয়াশরুম, রোগীদের দেওয়া খাবার, ওষুধের স্টোর রুম, প্যাথলজি বিভাগ ঘুরে দেখছেন। এ সময় তারা হাসপাতালের বিভিন্ন নথিপত্রও খতিয়ে দেখছেন।
অভিযান শেষে দুদকের সহকারী পরিচালক জুয়েল মজুমদার বলেন, হাসপাতাল অভ্যন্তর ব্যাপক অপরিচ্ছন্ন। ওয়ার্ডের টয়লেটগুলো ব্যবহার অনুপযোগী। স্টোররুমে গিয়ে ওষুধে অনিয়মের প্রমাণ মিলেছে।
তিনি বলেন, কিছু বেসরকারি ওষুধও কেনা হচ্ছে। কিন্তু এই ওষুধগুলো সরবরাহ করা হচ্ছে না। ধারণা করা হচ্ছে, সেগুলো বাইরে বিক্রি করা হতে পারে।
তাছাড়া অ্যাম্বুলেন্স কোথায় যাচ্ছে, রেজিস্ট্রারিতে উল্লেখ নাই। মাসে ৩৬ হাজার টাকার তেল ঢোকানো হয়। লাভ দেখানো হয়েছে ১৮ হাজার ৭শ টাকা। তাহলে পাঁচটি অ্যাম্বুলেন্সে কী পরিমাণ টাকা আসে হিসাব করেন, প্রশ্ন ছুঁড়ে দেন তিনি।
বিভাগের সবচেয়ে বড় স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল। ৯শ শয্যার এই হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ১৫শ রোগী সেবা নেয়।
ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকে এ অঞ্চলে চিকিৎসা সেবার আতুড় ঘর হলেও সেবা নিয়ে নানা অভিযোগ রয়েছে রোগী ও তাদের স্বজনদের। হাসপাতালে চিকিৎসক কর্তৃক রোগীর স্বজনদের লাঞ্ছনা করা, ওয়ার্ড বয় দ্বারা টলি এবং হুইল চেয়ার নিয়ন্ত্রণ ও সরবরাহে ১০০/২০০ টাকা করে আদায়। হাসপাতাল অভ্যন্তরে দালালদের দৌরাত্ম্য, ওষুধ পাচার ও সরকারি অ্যাম্বলেন্স সার্বক্ষণিক না মেলার অভিযোগ রয়েছে।
এনইউ/এএটি