ঢাকা, রবিবার, ২৬ শ্রাবণ ১৪৩২, ১০ আগস্ট ২০২৫, ১৫ সফর ১৪৪৭

সারাদেশ

ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ১৫ দিনের মধ্যে তুহিন হত্যার অভিযোগপত্র: জিএমপি কমিশনার

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৫২, আগস্ট ৯, ২০২৫
ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ১৫ দিনের মধ্যে তুহিন হত্যার অভিযোগপত্র: জিএমপি কমিশনার জিএমপি কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান

গাজীপুর: গাজীপুরে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যা মামলার বিষয়ে মহানগর পুলিশ (জিএমপি) কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান বলেছেন, ময়নাতদন্তের (পিএম) রিপোর্ট পেলেই অভিযোগপত্র দেওয়া হবে ১৫ দিনের মধ্যে। দ্রুত সময়ে বিচারের মাধ্যমে সর্বোচ্চ সাজা নিশ্চিত করা হবে।

শনিবার (৯ আগস্ট) কমিশনার নাজমুল করিম খান তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন।  

তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত শত্রুতার কোনো কিছু পাওয়া যায়নি। শুধুমাত্র ভিডিও ক্লিপ ধারণ করার জন্যই এ ঘটনাটি ঘটেছে। ভিডিও ক্লিপে দেখা যাচ্ছে তাদের হাতে চাপাতি রয়েছে, চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে। তারা যদি না-ও স্বীকার করে, তাদের এভিডেন্সই তাদের সত্যতা প্রমাণ করে দেয়।

তিনি আরও বলেন, গাজীপুর একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল এলাকা, এখানে অনেকগুলো ইনস্টিটিউশন আছে, অনেকগুলো বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে। এখানে অনেক খারাপ লোক আছে। শুধু চৌরাস্তায় প্রতিদিন চার লাখ লোক আসা যাওয়া করে। এত বড় ঘনবসতি জায়গা, যেখানে বন রয়েছে, যেখানে পরিত্যক্ত ইন্ডাস্ট্রি রয়েছে, যেখানে ঢাকা শহর থেকে বড়, সেখানে মাত্র ১ হাজার ১৬৫ জন পুলিশ দিয়ে আমরা কাজ করছি। এটি আমাদের জন্য খুবই কষ্টদায়ক হয়ে যাচ্ছে। চ্যালেঞ্জের ব্যাপার হয়ে গেছে। আমাদের আরও ২ হাজার ১০০ পুলিশ পাওয়ার জন্য একটি ফাইল মন্ত্রণালয়ে রয়েছে। এ ফাইলটি যদি আসে তাহলে আমরা অবশ্যই আরও ভালো করতে পারবো।

তিনি বলেন, ৫ আগস্টের পর গাজীপুরে অনেক কারখানা বন্ধ হয়ে গেছে। কর্মসংস্থান বন্ধ হয়ে গেলে ক্রাইম বেড়ে যায়। এটা জননিরাপত্তার জন্য হুমকি। আগের রেজিম (পতিত শাসকগোষ্ঠী) এ জেলায় শক্তিশালী। সেই দলটি গাজীপুরকে অস্থিতিশীল করছে। সেটিও নজরদারি করা হচ্ছে। এ নজরদারি করতে গিয়ে অন্যান্য অপরাধে মনোযোগ নষ্ট হচ্ছে।

পুলিশ কমিশনার জানান, বাদশা নামে এক ব্যক্তি ব্যাংক থেকে টাকা তুলে যাচ্ছিলেন। এ সময় আসামি গোলাপী তাকে হানি-ট্র্যাপে ফেলার চেষ্টা করেন। বাদশা বুঝতে পেরে তার থেকে ছুটতে চান এবং কিল-ঘুষি মারেন৷ এ সময় আসামিরা এসে বাদশাকে কোপানো শুরু করে। পরে বাদশা দৌড়াতে থাকেন৷ এ ঘটনাটি ওই সাংবাদিক ভিডিও করে। পরে আসামিরা সাংবাদিক তুহিনকে ভিডিও ডিলিট করতে বলে, কিন্তু তিনি রাজি হননি। এক পর্যায়ে ওই আসামিরা তাকে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যায়৷ সিসিটিভি ফুটেজে আমরা ৮ জনকে চিহ্নিত করেছি। এরমধ্যে ৭ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে৷

তিনি বলেন, আমরা ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিন হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার করতে পেরেছি।

গত বৃহস্পতিবার রাতে চন্দনা চৌরাস্তা এলাকায় প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করা হয় সাংবাদিক আসাদুজ্জামান তুহিনকে। এ ঘটনায় সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘটনার কিছু ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এ নিয়ে সারাদেশেই আলোচনার ঝড় বইছে।

আরএস/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।