পবিত্র ঈদুল আজহার টানা ছুটিতে পর্যটকদের পদভারে মুখরিত দেশের তিন পার্বত্য জেলার অন্যতম পাহাড় কন্যা বান্দরবান। প্রকৃতিপ্রেমী ও ভ্রমণপিপাসুদের জন্য তাই এ জেলা এক স্বর্গরাজ্য।
বুধবার (১১ জুন) জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায়, ঈদ উপলক্ষে টানা ১০ দিনের ছুটি থাকায় দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা পরিবার-পরিজন নিয়ে বান্দরবানের বিভিন্ন পর্যটনকেন্দ্র ঘুরে বেড়াচ্ছেন।
প্রথমবার বান্দরবান ঘুরতে আসা মো. রুদ্র রোহান বলেন, সবুজে ঘেরা পাহাড়ের সৌন্দর্য সত্যিই অসাধারণ। তবে দীর্ঘদিন পর পর্যটনকেন্দ্রগুলো খুলে দেওয়ায় কিছুটা থাকা-খাওয়ার সমস্যায় পড়তে হচ্ছে।
ঢাকা থেকে ১৮ জনের একটি বাইক রাইডিং দল নিয়ে আসা পর্যটক মুফিজুর রহমান বলেন, দীর্ঘদিন পর প্রকৃতির অপার সৌন্দর্য উপভোগ করতে পেরে ভালো লাগছে। আশা করছি, সামনে কেওক্রাডং ও চিংড়ি ঝরনার মতো জায়গাগুলোও পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হবে।
ইকোসেন্স রিসোর্টের মালিক জাকির হোসেন জানান, বর্ষার শুরুতে পাহাড় ও মেঘের অপরূপ দৃশ্য দেখতে অনেক পর্যটক আসছেন। ইতোমধ্যে ৯, ১০ ও ১১ জুন পর্যন্ত আমাদের রিসোর্টগুলো শতভাগ বুকড রয়েছে।
হোটেল কুইনের ম্যানেজার মো. ওয়াহিদুল ইসলাম বলেন, ঈদের দীর্ঘ ছুটিকে ঘিরে ১০ জুন পর্যন্ত আমাদের সব রুম বুকড। এবার পর্যটকদের উপস্থিতি আশানুরূপ, যা পর্যটন খাত-সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী ও কর্মচারীদের মধ্যে সন্তুষ্টি এনেছে।
বান্দরবান হোটেল-মোটেল ও রিসোর্ট ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এবং হোটেল ‘আরণ্য’র মালিক মো. জসিম উদ্দিন জানান, বান্দরবান সদরের ৭৩টি হোটেল ও রিসোর্টে প্রায় ৫ হাজার পর্যটক ধারণক্ষমতা রয়েছে। ১০ ও ১১ জুন পর্যন্ত সবগুলো বুকিং সম্পন্ন হয়েছে।
এদিকে বান্দরবান ট্যুরিস্ট রিজিয়নের পুলিশ সুপার (এসপি) হাসান ইকবাল চৌধুরী বলেন, টানা ঈদের ছুটিতে জেলায় বিপুল সংখ্যক পর্যটকের আগমন ঘটেছে। দেবতাখুম, নীলাচল, মেঘলা, শৈলপ্রপাত, চিম্বুকসহ গুরুত্বপূর্ণ স্পটগুলোতে পর্যটকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দুই শিফটে ট্যুরিস্ট পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। তিনি সব পর্যটককে নিরাপদ ও আনন্দদায়ক ভ্রমণের জন্য প্রয়োজনীয় সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
এসআরএস