ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩২, ০৯ মে ২০২৫, ১১ জিলকদ ১৪৪৬

সারাদেশ

এএসপি পলাশের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:১৭, মে ৮, ২০২৫
এএসপি পলাশের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন

গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলার পাড়কোনা মহাশ্মশানে র‌্যাব-৭ এ কর্মরত সিনিয়র এএসপি পলাশ সাহার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। র‌্যাব-৬ এর পক্ষ থেকে পলাশের লাশের ওপর ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানায়।

এর আগে সকাল সাড়ে ৯টায় সিনিয়র এএসপি পলাশ সাহার লাশবাহী ফ্রিজিং গাড়িটি তার গ্রামের বাড়ি কোটালীপাড়ার তারাশিতে এলে পরিবারের লোকজন ও এলাকাবাসী একনজর দেখাতে পলাশের বাড়িতে ভিড় করে। পরিবারের লোকজন পলাশের মৃত্যুর জন্য তার স্ত্রীকে দায়ী করে তার শাস্তির দাবি জানায়।  

সিনিয়র এএসপি পলাশ সাহার মরদেহ গ্রামের বাড়ি তারাশিতে এলে মা রমারানী সাহার আহাজারিতে আকাশ বাতাস ভারী হয়ে ওঠে। সেখানে থাকা লোকজনেরও চোখ ভারী হয়ে ওঠে। নিহত পলাশের মা কান্নার মধ্যে বার বার ছেলের বউয়ের নির্যাতনের কথা তুলে ধরেন। সেখানে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়।  

এএসপি পলাশ সাহা কোটালীপাড়া উপজেলার তারাশী গ্রামের মৃত বিনয় কৃষ্ণ সাহার ছেলে। তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে পালাশ ছিলেন সবার ছোট। গত বুধবার র‌্যাব-৭ এর চান্দগাঁও ক্যাম্পের তৃতীয় তলা থেকে এএসপি পলাশ সাহার মরদেহ উদ্ধার করে। মা ও স্ত্রীকে নিয়ে তিনি চট্টগ্রামে কর্মস্থলে থাকতেন। গ্রামের বাড়িতে থাকে তার বড় দুই ভাই।  

এদিকে পলাশ সাহার এমন মৃত্যু মেনে নিতে পারছে না গ্রামবাসী। পলাশের মতো নিরীহ ও মেধাবী ছেলে এই গ্রামে ছিল না। তার এভাবে চলে যাওয়াতে এলাকাবাসী খুবই শোকাহত।

পলাশ সাহার ভাই নন্দ লাল সাহা বলেন, বিয়ের পর থেকেই পলাশের মাকে দেখতে পারতেন না সুষ্মিতা সাহা। মা পলাশের সঙ্গে থাকুক তা সে চাইতেন না। এনিয়ে সব সময় ঝগড়া লেগে থাকতো। পলাশ মাকে খুব ভালোবাসতেন। সে চাইতো মা সব সময় তার কাছে থাকুক।

** ‘কাউকে ভালো রাখতে পারলাম না'

এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।