ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

রাজনীতি

ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে গণঅভ্যুত্থানের শপথ

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২১
ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে গণঅভ্যুত্থানের শপথ সমাবেশে বক্তব্য রাখছেন আমানউল্লাহ আমান। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: ডিসেম্বর-জানুয়ারির মধ্যে গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সরিয়ে পুনরায় গণতন্ত্র উদ্ধারের শপথ নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)।

মঙ্গলবার (৩০ নভেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অনুষ্ঠিত সমাবেশ থেকে এ আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক ও সমাবেশের সভাপতি আমানউল্লাহ আমান।

 

বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তি ও বিদেশে সুচিকিৎসার দাবিতে বিভাগীয় এ সমাবেশ হয়।  

আমানউল্লাহ আমান বলেন, আজকে এটি ছিল সমাবেশ। কিন্তু আপনারা দেখেন, এদিকে মতিঝিল শাপলা চত্বর, কাকরাইল, নটর ডেম কলেজ, ফকিরাপুল, মালিবাগ, নাইটিংগেল মোড়ে নেতাকর্মীদের ঢল। এ সমাবেশ মহাসমাবেশ হয়ে গেল। আল্লাহ তায়ালার অশেষ রহমতে মহাসচিবের ঘোষিত সমাবেশ হয়ে গেল মহাসমাবেশ।

তিনি বলেন, গণতন্ত্রের মা খালেদা জিয়ার মুক্তি ও সুচিকিৎসার জন্য আল্লাহর রহমতে এ ঢাকায় মানুষের ঢল নেমেছে। আল্লাহর রহমত, শেখ হাসিনা আপনি এসে দেখে যান। মহাসচিব কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন সমাবেশ। আর সেই সমাবেশ আজ মহাসমাবেশে রূপ নিয়েছে। শেখ হাসিনার শুভ বুদ্ধি উদয় হোক। অবিলম্বে আমাদের নেত্রীকে মুক্তি দিন। অবিলম্বে তাকে বিদেশে যাওয়ার ব্যবস্থা করুন। আর না হয় আপনাকে গদি থেকে নামানো হবে।

নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে আমানউল্লাহ আমান বলেন, ১৮ এর নির্বাচনের মতো শেখ হাসিনাকে আবার ক্ষমতায় আসতে দেবেন? না দিলে, সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করার জন্য প্রস্তুত আছেন? কী করতে হবে তার জন্য জানেন? ওই যে ছাত্ররা বলেছেন, আমরা রাষ্ট্রের মেরামত চাই। এ রাষ্ট্র মেরামত করতে হলে আগে হাসিনাকে সরাতে হবে। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করতে হলে হাসিনাকে সরাতে হবে। খালেদা জিয়াকে মুক্ত করতে হলে শেখ হাসিনাকে সরাতে হবে। আপনারা প্রস্তুত আছেন? 

তিনি বলেন, ১৯৫২- এর আন্দোলনের সময় রক্ত দিয়েছিলাম। ১৯৬৯ এর গণঅভ্যুত্থানে রক্ত দিয়েছিলাম। ১৯৭১ সালে মহান স্বাধীনতা আর ১৯৯০ এ রক্তের বিনিময়ে আবার গণতন্ত্র পেয়েছিলাম। এ ডিসেম্বর থেকে জানুয়ারির মধ্যে আরেকটি গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আবার একটি গণতন্ত্র আদায় করতে হবে।

ডাকসুর ওই সাবেক ভিপি আমান বলেন, আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান আপনাদের উদ্দেশ্যে একটি বাণী দিয়েছেন, 'যদি তুমি ভয় পাও তবে তুমি শেষ, যদি তুমি রুখে দাঁড়াও তবে তুমি বাংলাদেশ। ' সেই শহীদ জিয়ার বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য, তারেক রহমানের স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়ার জন্য, দেশনেত্রীর গণতান্ত্রিক দেশ ফিরিয়ে পাওয়ার জন্য রাজপথে আরও একটি যুদ্ধ। আরও একটি মুক্তিযুদ্ধের জন্য প্রস্তুত আছেন? দুই হাত তুলেন। দুই হাত তুলেন। দুই হাত তুলে আমরা এ শপথ করি।

এ সময় সব নেতাকর্মী ও মঞ্চে থাকা নেতাকর্মীরা দুই হাত তুলে স্লোগান ধরেন, ‘মুক্তি মুক্তি মুক্তি চাই, খালেদা জিয়ার মুক্তি চাই। তারেক রহমান বীরের বেশে, আসবে ফিরে বাংলাদেশে।  

আমানউল্লাহ আমান বলেন, আসুন আমরা এক দফা আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এ সরকার পতনের শপথ নেই। আগামী কর্মসূচিকে সফল করি।

আমানউল্লাহ আমানের সভাপতিত্বে সমাবেশে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্দুল মঈন খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান শাজাহান ওমর, হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য তৈমুর আলম খন্দকার, আবদুস সালাম, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন প্রমুখ।

আরও পড়ুন>>

>>> খালেদার মুক্তি দাবিতে বিএনপির সমাবেশ চলছে

বাংলাদেশ সময়: ১৭১৫ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০২১
এমএইচ/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।