ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৪ আশ্বিন ১৪৩২, ৩০ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭ রবিউস সানি ১৪৪৭

রাজনীতি

একটি গোষ্ঠী ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভাজিত করতে চায়: সালাহউদ্দিন

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১:২৩, সেপ্টেম্বর ২৯, ২০২৫
একটি গোষ্ঠী ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভাজিত করতে চায়: সালাহউদ্দিন ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন সালাউদ্দিন আহমদ। ছবি: ডিএইচ বাদল

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, একটি গোষ্ঠী ও রাজনৈতিক দল ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভাজিত করতে চায়, অনৈক্য সৃষ্টি করতে চায়। তারা বিভিন্ন ইস্যু তৈরি করে সামনে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার ষড়যন্ত্র করছে।

তিনি বলেন, ‘যারা নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে চায়, যারা বিভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি করে নির্বাচনকে বিলম্বিত করতে চায়, তাদের এদেশের জনগণ চিহ্নিত করবে এবং রাজনৈতিকভাবে প্রত্যাখ্যান করবে।

সোমবার (২৯ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় রাজধানীর ঢাকেশ্বরী জাতীয় মন্দিরে শারদীয় দুর্গাপূজা-১৪৩২ উপলক্ষে শুভেচ্ছা বক্তব্যে সালাউদ্দিন এসব কথা বলেন।

স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় অনুষ্ঠান দুর্গাপূজা কেবল একটি উৎসব নয়, এটি অশুভ শক্তি ও অসুরের বিরুদ্ধে সংগ্রামের প্রতীক। দীর্ঘ ১৬ বছর ধরে বাংলাদেশে মানুষ ফ্যাসিবাদ ও অসুর শক্তির বিরুদ্ধে লড়াই করেছে। সেই লড়াইয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে, তবে অশুভ শক্তি এখনো পুরোপুরি বিনাশ হয়নি।

তিনি আরও বলেন, হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান, মুসলিম, পাহাড়ি-সমতলের সব নাগরিক মিলে আমরা ঐক্যের রাজনীতি করি। ধর্মের ভিত্তিতে জাতিকে বিভক্ত করার কোনো সুযোগ নেই। বিএনপি ধর্মকে রাজনৈতিক হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করে না। আমাদের নীতি হলো—ধর্ম যার যার, রাষ্ট্র সবার।

ঢাকেশ্বরী মন্দির কমিটির দাবি প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দেবোত্তর সম্পত্তি, অর্পিত সম্পত্তি, সংখ্যালঘু কমিশন ও ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠাসহ যৌক্তিক দাবি বিএনপির নির্বাচনী ইশতেহারে অন্তর্ভুক্ত করা হবে।

তিনি দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশে যতদিন দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হবে, বিএনপির নেতাকর্মীরা এই উৎসবের নিরাপত্তা ও পাহারায় পাশে থাকবে।

বিএনপির এই নেতা বলেন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের জন্য নানা ষড়যন্ত্র চলছে। তবে চক্রান্তকারীরা অতীতে যেমন সফল হয়নি, ভবিষ্যতেও এসব ষড়যন্ত্র সফল হবে না।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির সহ-ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দা সবু, বাংলাদেশ পূজা পরিষদের সভাপতি বাসুদেব ধর, মহানগর পূজা পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত কুমার দে, প্রতিষ্ঠাতা সুব্রত চৌধুরী, সাবেক ছাত্রনেতা মীর নেওয়াজ আলী এবং হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের মহাসচিব তরুণ দে।

ডিএইচবি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।