ঢাকা, শনিবার, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৪ জুন ২০২৫, ১৭ জিলহজ ১৪৪৬

রাজনীতি

নির্বাচন নিয়ে ঐকমত্য অনিশ্চয়তা কাটিয়ে নতুন আশার আলো এনেছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮:৫৮, জুন ১৩, ২০২৫
নির্বাচন নিয়ে ঐকমত্য অনিশ্চয়তা কাটিয়ে নতুন আশার আলো এনেছে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ফাইল ছবি

লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বৈঠকে নির্বাচন বিষয়ে ফলপ্রসূ মতৈক্য হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, এই ঐকমত্য অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দেশের মানুষের জন্য এনেছে স্বস্তির বার্তা, নতুন আশার আলো।

শুক্রবার (১৩ জুন) সকালে লন্ডনে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের একান্ত বৈঠকটির পর ‘যে বৈঠকে বিজয়ী বাংলাদেশ’ শিরোনামে বিবৃতিতে ফখরুল এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, ‘আজ বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে সফররত প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। অত্যন্ত সৌহার্দ্যমূলক পরিবেশে তাদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এই বৈঠকে আগামী রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে যে ফলপ্রসূ ঐকমত্য হয়েছে, তা অনিশ্চয়তা কাটিয়ে দেশের মানুষের জন্য এনেছে স্বস্তির বার্তা, নতুন আশার আলো। ’

বিএনপি মহাসচিব বলেন, পুরো বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে, এপ্রিলের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত সময় থেকে সরে এসে নির্বাচনের জন্য একটি যৌক্তিক সময়সীমা নির্ধারণের জন্য প্রফেসর মুহাম্মদ ইউনূসকে জানাই আন্তরিক ধন্যবাদ। তিনি জনগণের প্রত্যাশা উপলব্ধি করে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন —যা নিঃসন্দেহে প্রশংসার যোগ্য।

“আর ‘সবার আগে বাংলাদেশ’—এই নীতিকে হৃদয়ে ধারণ করে তারেক রহমান বরাবরের মতোই প্রমাণ করেছেন, তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেশের স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব ও স্থিতিশীলতা। সময়ের প্রয়োজনে দায়িত্বশীল ছাড় দিয়ে দেখিয়েছেন—গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার পথযাত্রায় তিনি শুধু রাজপথের সর্বোচ্চ শক্তির নেতা নন, আলোচনার টেবিলে এবং ইতিবাচক ডায়ালগেও সমানভাবে দক্ষ ও দূরদর্শী। ”

মির্জা ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টাকে ‘No One Is Too Small to Make a Difference’ এবং ‘Nature Matters: Vital Poems from the Global Majority’ শীর্ষক দুটি বই ও একটি কলম উপহার দিয়ে তিনি রাজনৈতিক সৌজন্য ও জ্ঞাননির্ভর রাষ্ট্রচিন্তার নতুন ধারার সূচনা করেছেন।

বিএনপি মহাসচিব সরকারের প্রতি প্রত্যাশার কথা জানিয়ে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি, বৃহত্তম রাজনৈতিক দল ও অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধানের এই সৌহার্দ্য ও সহমতের মধ্য দিয়ে জয় হবে গণতন্ত্রের, জয় হবে বাংলাদেশের, জয় হবে জনগণের—ইনশাআল্লাহ। এখন প্রত্যাশা, অন্তর্বর্তী সরকার নিজ অবস্থান অটুট রেখে আগামী রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজনের সর্বাত্মক প্রস্তুতি শুরু করবে।

এনডি/এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাজনীতি এর সর্বশেষ