বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘সংস্কারের নামে শেখ হাসিনার মতো উন্নয়নের সবক শোনাচ্ছে এ সরকার। যতদিন নির্বাচিত সরকার না আসবে ততদিন ফ্যাসিবাদের দাফন-কাফন করা যাবে না।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে ফতুল্লা কাঠেরপুল এলাকায় মৎস্যজীবী দলের অনুষ্ঠানে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ কথা বলেন তিনি।
শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত স্বৈরাচারী ব্যবস্থার মূর্ত প্রতীক শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দিয়েছে। তারা আমাদের বিরুদ্ধে লাগাতার অপপ্রচার করছে। এগুলো রুখতে নির্বাচিত সরকার দরকার। এছাড়া কোনো পথ নেই। দেশনেত্রী খালেদা জিয়া বলেছেন, গণতন্ত্রের পথের যাত্রা বারবার বিঘ্নিত হচ্ছে। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, নির্বাচনের কোনো বিকল্প নেই। নির্বাচন ছাড়া গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার উত্তরণ সম্ভব নয়। সরকার যেন ভুল পথে না যায় সেজন্য আমরা সমালোচনা করব। এ সরকারকে অবশ্যই দেশের মানুষের পক্ষে থাকতে হবে। গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে থাকতে হবে। ’
তিনি বলেন, ‘আমাদের হাজার হাজার ছেলেমেয়েরা রক্ত দিয়ে স্বৈরাচারের পতন ঘটিয়েছে ও গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছে। এদের হত্যার বিচার নিশ্চিত করতে হবে। আমাদের ঐক্য বিনষ্ট হয় এমন কোনো বক্তব্য দেওয়া উচিত হবে না। আমাদের গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার লড়াই এখনও শেষ হয়নি। ’
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বলেন, ‘জিয়াউর রহমানের মতো সৎ রাজনীতিবিদ শুধু বাংলাদেশ নয়; পুরে দক্ষিণ এশিয়ায় বিরল। শহীদ জিয়াকে অনুসরণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের সংকট কাটতে পারে। শেখ মুজিব বাংলাদেশে চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে সব দল বাতিল করেছিলেন। এমনকি আওয়ামী লীগকেও তিনি বাতিল করেছিলেন। তার সময় দুর্ভিক্ষ হয়ে লাখ লাখ মানুষ মারা গেছে। তার সময় চারটি বাদে সব পত্রিকা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। সেখান থেকে সকল দলকে রাজনীতি করার ব্যবস্থা করেছিলেন জিয়াউর রহমান। সকল সংবাদপত্র প্রচারের সুযোগ করে দিয়েছিলেন শহীদ জিয়াউর রহমান। ’
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান ৭৯ সালে নির্বাচন করে নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। আজ গণঅভ্যুত্থানের দশ মাস। স্বৈরাচারের পতন হলেও আমরা এখনও গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ ও নির্বাচনের জন্য পদক্ষেপ নিতে পারিনি।
এমআরপি/এসএএইচ