ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণের মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া গেজেটের বৈধতা নিয়ে রিটের আদেশ আবারও পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। ‘টালবাহানা’ করে বারবার রায় পেছানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ইশরাক সমর্থকরা।
বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে মেয়র হিসেবে শপথ পড়ানোর দাবিতে সপ্তম দিনের মতো বুধবার (২১ মে) মৎস্য ভবন, কাকরাইল মোড় ও হাইকোর্ট এলাকায় অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন বিএনপি এবং এর অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
এ দিন ইশরাককে মেয়র হিসেবে ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশনের দেওয়া গেজেটের বৈধতা নিয়ে রিটের রায় দেওয়ার কথা থাকলেও বৃহস্পতিবার রায় ঘোষণা করবেন বলে আদালত সময় দেন। ফলে আন্দোলনরত ইশরাক সমর্থকদের মাঝে ক্ষোভ দেখা দেয়।
ঢাকা মহনগর দক্ষিণ কৃষকদলের আহ্বায়ক কামাল হোসেন বলেন, বড় কোনো ষড়যন্ত্রের কারণে ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করা হচ্ছে না। এই ষড়যন্ত্রের জাল ছিন্ন করে দিতে আমরা মাঠে আছি। ইশরাক হোসেনকে মেয়র ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাব।
ঢাকা উত্তর যুবদলের সদস্যসচিব মিরাজ বলেন, আমরা দেখেছি গত ১৬ বছরের স্বৈরাচারী সরকার যেভাবে নিপীড়ন-নির্যাতন চালিয়েছে, সেই স্বৈরাচারী পন্থায় আবার দেশ চলছে, বারবার রায় পেছানো হচ্ছে। যতদিন পর্যন্ত রায় ঘোষণা না হবে, ইশরাক ভাই মেয়রের শপথ না নেবেন ততদিন মাঠে থাকব।
ঢাকা মহানগর মৎসজীবী দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসমাইল হোসেন সিরাজী বাংলানিউজকে বলেন, আমরা দেখছি রায় নিয়ে টালবাহানা করছে। বিগত দিনে শেখ হাসিনা আদালতকে অবজ্ঞা করে একতরফা বাকশাল কায়েম করতে চেয়েছিলেন। সেই পথেই তত্ত্বাবধায়ক সরকার হাঁটছে। আদালত রায় দিয়েছে, নির্বাচন কমিশনের গেজেট হলো, কিন্তু তাকে শপথ পড়ানো হচ্ছে না। এটা একটা ষড়যন্ত্র ও প্রতিহিংসামূলক আচরণ। বর্তমান তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অনেকে বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হচ্ছেন। তার দায়ভার ইউনূস সরকারকে নিতে হবে। তাদের ষড়যন্ত্রের কারণে ইশরাকের মেয়র ঘোষণা বিলম্বিত হচ্ছে। আজ ঢাকাবাসীর ন্যায্য অধিকারের জন্য মাঠে নেমেছি। আমরা আমাদের ন্যায্য অধিকার নিয়ে ঘরে ফিরে যাব। তা না হলে কঠিন আন্দোলনে যাবে ঢাকাবাসী।
ইশরাক হোসেনকে মেয়র পদের শপথ পড়ানোর দাবিতে কয়েকদিন ধরে নগর ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে আন্দোলন করছেন ইশরাকের সমর্থকরা। বুধবার সকালে ওই এলাকা ছেড়ে মৎস্য ভবন ও এর আশপাশে আসতে থাকেন তারা। এক পর্যায়ে মৎস্য ভবন ছাড়িয়ে একদিকে কাকরাইল, অন্যদিকে হাইকোর্ট গেট, জাতীয় প্রেসক্লাব ও শিক্ষা ভবনের আশপাশে বিপুল লোকসমাগম ঘটে।
এ সময় চারদিকের রাস্তা বন্ধ করে দেন ইশরাক সমর্থকরা। আন্দোলকারীরা সড়ক বন্ধ করে দেওয়ায় সৃষ্টি হয়েছে তীব্র যানজট। অন্যদিকে প্রচণ্ড রোদ ও গরমকে উপেক্ষা করে পিচঢালা রাস্তায় বসেই তারা স্লোগানে স্লোগানে চারপাশ মুখর করে রেখেছেন। তারা বলছেন, ইশরাক হোসেনকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত না এলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা দেওয়া হবে।
ডিএইচবি/এমজেএফ