ঢাকা, বুধবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০১ মে ২০২৪, ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

রাজনীতি

মনোহরদীতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৪
মনোহরদীতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদককে অবাঞ্ছিত ঘোষণা

নরসিংদী: দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী ও শিল্পমন্ত্রী অ্যাডভোকেট নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলাম। নির্বাচনের আগের রাতে মন্ত্রীর ছেলে ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদীর বিরুদ্ধে গুলির নাটক সাজানোর প্রতিবাদে এবং কাজী মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে মনোহরদী উপজেলা যুবলীগ।

এ সময় তাকে মনোহরদীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হয়।

বুধবার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে নরসিংদীর মনোহরদী বাসস্ট্যান্ডে এ কর্মসূচি পালন করা হয়।

উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এমএস ইকবাল আহমেদের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক এসএম রাশেদুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক তৌহিদ সরকার, উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান রুপন, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাধারণ সম্পাদক তৌহিদুল আলম ও উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভানেত্রী ইসরাত জাহান তামান্না।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, কাজী মাজহারুল ইসলাম যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা হয়েও জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তিনি নৌকাকে পরাজিত করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত ছিলেন। নির্বাচনের আগের রাতে নৌকাকে হারানোর কৌশল হিসেবে শিল্পমন্ত্রীর ছেলের বিরুদ্ধে গুলির নাটক সাজিয়ে সাধারণ জনগণকে বোকা বানানোর চেষ্টা করেছেন। যারই ভিডিও এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। আমরা এমন ঘৃণ্য কাজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। আমরা কেন্দ্রীয় যুবলীগের কাছে তাকে বহিষ্কারের দাবি জানাচ্ছি। একই সঙ্গে তাকে মনোহরদীতে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা হলো।

নরসিংদী-৪ (মনোহরদী-বেলাব) আসনের সংসদ সদস্য শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের ছেলে মনোহরদী উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য মঞ্জুরুল মজিদ মাহমুদ সাদি। তাকে ফাঁসাতে এক ইউপি চেয়ারম্যানের ওপর গুলির নাটক সাজানোর অভিযোগ উঠেছে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী মাজহারুল ইসলামের বিরুদ্ধে।

এ ঘটনায় সম্প্রতি যুবলীগ নেতা মাজহারুল ইসলামের একটি ভিডিও ভাইরাল হয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে। তারপর থেকে গুলির নাটকের বিষয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয় এলাকায়।

এছাড়া আগে মাজহারের বিরুদ্ধে দলীয় নেতাকর্মীদের নামে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানিরও অভিযোগ পাওয়া গেছে।

নির্বাচনের আগের দিন ৬ জানুয়ারি রাতে ঈগল প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলাম খান বীরুর সমর্থক চন্দনবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবদুর রউফ হিরনের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ ওঠে শিল্পমন্ত্রীর ছেলে সাদির বিরুদ্ধে। যা বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রচার হয়।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওসহ অডিওতে মাজহারুল ইসলামকে বলতে শোনা যায়, ‘হিরনকে (চন্দরবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান) বলবা জোরালোভাবে বলার জন্য যে সাদি ইয়া করছে। তিন-চার মিনিটের মধ্যে ডিসি আসছে। ২৫টা গাড়ি নিয়ে আসছে। সব লোকজনকে রাস্তায় বের হতে বলো। হিরনকে বলবা যেন সে স্পষ্টভাবে বলে সাদিই তাকে গুলি করছে। এটা যেন শক্তভাবে বলে এবং এটা তোমরা লাইভ করে ফেলবা। পাঁচ-ছয়জনে লাইভ করলে পার পাওয়ার আর রাস্তা পাবে না।

বাংলাদেশ সময়: ২১০৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৪, ২০২৪
জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।