ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

রাজনীতি

গায়েবি বাক্সের ভোটে এমপি হলেন ‘ডামি’ নির্বাচনের প্রার্থীরা: ১২ দলীয় জোট 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২৪
গায়েবি বাক্সের ভোটে এমপি হলেন ‘ডামি’ নির্বাচনের প্রার্থীরা: ১২ দলীয় জোট 

ঢাকা: একদলীয় সরকারের অধীনে সাজানো ‘ডামি’ নির্বাচনে সারাদেশে ৪ থেকে ৫ শতাংশ ভোট পড়েছে এমন মন্তব্য করে ১২ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতারা বলেছেন, বিকেল ৪টার পর ভোটের খালি বাক্সগুলো কেন্দ্র থেকে  সরিয়ে নিয়ে ব্যালট ভর্তি গায়েবি বাক্স এনে পরে ভোট গণনা করা হয়েছে। সন্ধ্যায় গায়েবি বাক্সের ভোটে অবৈধভাবে নির্বাচিত এমপিদের নাম ঘোষণা করেন আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন।

নেতারা ডামি নির্বাচনে এমপিদের শপথ না নেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, শেখ হাসিনা সরকারের ক্ষমতায় থাকার আর কোনো নৈতিক অধিকার নেই। এ সরকারের চূড়ান্ত পরিণতির কথা জনগণ ভোট বর্জনের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে। ৭ তারিখ নির্বাচন হয়নি এটি আওয়ামী লীগের সার্কাস খেলা হয়েছে।  

সোমবার (৮ জানুয়ারি) দুপুরে ১২ দলীয় জোট আয়োজিত প্রহসনের নির্বাচন বাতিল ও তত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নতুন নির্বাচনের দাবিতে ঢাকার জাতীয় প্রেসক্লাব, পল্টন এলাকায় মৌন মিছিল ও  অবস্থান কর্মসূচি শেষে নেতারা এসব কথা বলেন।

১২ দলীয় জোটের মুখপাত্র ও বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম বলেন, সরকার এখন অস্তিত্ব সংকটে পড়তে শুরু করেছে। জাতিসংঘ এখন সরকারের গলাটিপে ধরবে এবং আমেরিকা স্যাংশন দিয়ে অর্থনীতির বারোটা বাজাবে। দেশ ও দেশের জনগণকে বাঁচানোর জন্য এ অবৈধ সরকারের পদত্যাগের বিকল্প নেই। অবিলম্বে সরকারকে পদত্যাগ করে নতুন নির্বাচন দিতে হবে।

১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক ও জাগপার সহসভাপতি রাশেদ প্রধান বলেন, ৭ তারিখ আওয়ামী লীগের রঙ তামাশার নির্বাচন খেলা শেষ হয়েছে। এ খেলায় আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক পরাজয় হয়েছে এবং দেশের জনগণ ও যুগপৎ আন্দোলনের শরিকরা বিজয় অর্জন করেছেন। এখন সময় শুধু শেখ হাসিনাকে পদত্যাগে বাধ্য করা।

জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড.গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম বলেন, এ প্রহসনের নির্বাচনে দেশের ভাবমূর্তি বিশ্বের কাছে নষ্ট হয়েছে। আওয়ামী লীগ এ নির্বাচনের মাধ্যমে তাদের রাজনীতিকে অন্ধকারে নিক্ষেপ করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এখন পুরোপুরি ধ্বংসযজ্ঞে পরিণত হলো। অবিলম্বে সরকারের পদত্যাগ করা উচিত।

মৌন মিছিল শেষে বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মহাসচিব মাওলানা ড.গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি-জাগপার সহ-সভাপতি ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান সমন্বয়ক রাশেদ প্রধান, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) হান্নান আহমেদ খান বাবলু, বাংলাদেশ জাতীয় দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুল আহাদ, বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান লায়ন মো. ফারুক রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. শামসুদ্দীন পারভেজ ও ইসলামী ঐক্যজোটের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা শওকত আমিন।

বাংলাদেশ সময়: ১৪৫১ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৮, ২০২৪
টিএ/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।