ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্পিডবোট নষ্টের বাহানা করে মাঝ নদীতে ডাকাতি

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭৪২ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২
স্পিডবোট নষ্টের বাহানা করে মাঝ নদীতে ডাকাতি

ঢাকা: নরসিংদীর পুরাতন লঞ্চঘাট এলাকায় নৌপথে ডাকাতির সময় চার ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে নৌ পুলিশ।

গ্রেফতাররা হলেন- মো. শফিকুল ইসলাম ওরফে বডি (২০), রাহাত হোসেন (২১), ইসমাইল হোসেন (২২) ও রিজভি মিয়া (২০)।

বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) দিনগত রাতে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়।

এ সময় তাদের কাছ থেকে দুটি সোনার চেইন, এক জোড়া কানের দুল, ১ টি আংটি, ১ টি রূপার ব্রেসলেট, তিনটি মোবাইল ফোন সেট, ১ টি গ্যালাক্সি ট্যাব, ২টি হাতঘড়ি, ২ টি স্পিডবোট ও নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।

নৌ পুলিশ জানায়, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। মেঘনা নদী পারাপারের সময় মাঝ নদীতে স্পিডবোট নষ্ট হয়ে যাওয়ার বাহানা তৈরি করে চালক শফিকুল ইসলাম। পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী মাঝ নদীতে আরো তিনজন ডাকাত সদস্য এলে যাত্রীদের অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে সর্বস্ব লুট করে নিয়ে যায়।  

বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) রাজধানীর হাতিরঝিল পুলিশ প্লাজায় নৌ পুলিশের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান নৌ পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (ক্রাইম আ্যন্ড অপারেশন) পংকজ কুমার রায়।  

তিনি বলেন, দীর্ঘ নয় বছর পরে প্রবাস ফেরত নাসির উদ্দিনকে বাড়ি নিয়ে যেতে বড় ভাই আসমাত আলি স্পিডবোট ঠিক করে রাখেন। নরসিংদীর পূর্ব লঞ্চঘাট এলাকা থেকে মেঘনা নদী পারাপারের সময় মাঝ নদীতে স্পিডবোট নষ্ট হয়ে যায় বলে গ্রেফতার শফিকুল জানান। এ সময় শফিকুল তার মোবাইল থেকে বেশ কয়েকবার ফোনে কথা বলেন।

এর কিছুক্ষণ পরই অন্য একটি স্পিডবোটের মাধ্যমে তিনজন ডাকাত সদস্য তাদের বোটে উঠে আঘাত করে ও মৃত্যুর ভয় দেখিয়ে মালামাল নিয়ে যায়।  

নৌ পুলিশের এই কর্মকর্তা বলেন, এই ঘটনায় করিমপুর নৌ পুলিশ জানতে পারলে সঙ্গে সঙ্গে জলদস্যুদের ধরার জন্য অভিযানে নামে। নৌ পুলিশের সদস্যরা আসমাত আলির স্পিডবোটচালক শফিকুলকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে দস্যুতার সঙ্গে তার সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার করেন এবং সহযোগীদের নাম প্রকাশ করেন৷ তার দেওয়া তথ্য মতে ঢাকার নৌ পুলিশের একটি দল তথ্য-প্রযুক্তির সহযোগিতায় বাকি তিন জনকে গ্রেফতার করেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৭৪১ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ০৮, ২০২২
পিএম/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।