ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৬ মে ২০২৪, ০৭ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

‘তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
‘তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে’

খুলনা: দেশে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে বলে জানিয়েছেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম।

শনিবার (২০আগস্ট) দুপুরে খুলনা জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এ তথ্য জানান তিনি।

 

তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি অধিদফতরের বাস্তবায়নাধীন ‘ডিজিটাল সংযোগ স্থাপন (ইডিসি)’ প্রকল্পের কার্যক্রম বিষয়ে এ মতবিনিময় সভার আয়োজন করা হয়। আয়োজনে ছিল খুলনা জেলা প্রশাসন।  

এতে প্রধান অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলম।  

তিনি বলেন, তথ্য-প্রযুক্তির প্রসারের ফলে মানুষের জীবন হয়ে উঠেছে গতিময়। তথ্যপ্রযুক্তি খাতে ২০ লাখ তরুণ-তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। দেশে প্রায় ১৩ কোটি মানুষ ইন্টারনেট ব্যবহার করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে স্বপ্ন দেখেন তা বাস্তবায়ন করেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি নির্ভর বাংলাদেশের ভিত্তি তৈরি করে গেছেন। সে পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ডিজিটাল বাংলাদেশ বিনির্মাণ করে দেশকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ প্রায় সব সরকারি-বেসরকারি দফতরে ডিজিটালসেবা চালু হয়েছে।  

তিনি আরও বলেন, সব দফতরে ই-নথি চালু করা হয়েছে। সরকারি সুরক্ষা অ্যাপস ব্যবহার করে আট কোটি মানুষকে ভ্যাকসিনেশেনের আওতায় আনা হয়েছে। দেশে প্রায় ৩৯টি হাইটেক পার্ক স্থাপন করা হয়েছে। বিভাগীয় শহর খুলনার হাইটেক পার্ক হবে দৃষ্টিনন্দন। শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে খুলনার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ল্যাপটপ দেওয়া হবে। সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কম্পিউটার ল্যাবের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে দেশ ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর হয়েছে, এবার ভিশন স্মার্ট বাংলাদেশ-২০৪১ বাস্তবায়ন করতে হবে।  

খুলনার জেলা প্রশাসক মো. মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও প্রকল্প পরিচালক ড. খন্দকার আজিজুল ইসলাম। স্বাগত জানান অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মুকুল কুমার মৈত্র।  

সভায় সরকারি দফতরের কর্মকর্তা, খুলনার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান, উদ্যোক্তা, শিক্ষার্থী ও ইন্টারনেট ব্যবসায়ীরা অংশ নেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১০ ঘণ্টা, আগস্ট ২০, ২০২২
এমআরএম/এসএ


 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।