ঢাকা, শুক্রবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৩ মে ২০২৪, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

টাকা পাচার করে নতুন নতুন বেগমপাড়া বানানো হচ্ছে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৩৫৮ ঘণ্টা, আগস্ট ৪, ২০২২
টাকা পাচার করে নতুন নতুন বেগমপাড়া বানানো হচ্ছে

ঢাকা: জ্বালানি খাতসহ বিভিন্ন প্রকল্প থেকে দুর্নীতির মাধ্যমের টাকা পাচার করে নতুন নতুন বেগমপাড়া বানানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন সিনিয়র সহ সভাপতি অধ্যাপক এম শামসুল আলম।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) সকাল ১১ টায় জাতীয় প্রেসক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া মিলনায়তনে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) আয়োজিত প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি বাস্তবায়নে জ্বালানি সনদ চুক্তির ভূমিকা শীর্ষক সংলাপে এসব কথা বলেন।

সংলাপে ক্যাবের সিনিয়র সহ-সভাপতি অধ্যাপক এম শামসুল আলমের সভাপতিত্বে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান এবং প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান।  

বক্তারা সংলাপে বলেন, জ্বালানি সনদ চুক্তিটির আইনি কাঠামো বেশ একপেশে এবং ভারসাম্যহীন। এটা এক রকমের দ্বন্দ্ব নিরসনের নামে আইনি ফাঁদ স্বাগতিক রাষ্ট্রের জন্য। তাই সামাজিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা প্রশমনে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতের দায়মুক্তি আইন ২০১০ এর বিরোধিতা যেমন করতে হবে তেমনি বাংলাদেশ রাষ্ট্র যেন শেষ পর্যন্ত জ্বালানি সনদ চুক্তিতে স্বাক্ষর না করে এবং বিরোধিতা করার আহ্বান জানাচ্ছি।  

প্রবন্ধ উপস্থাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেন, জ্বালানি সনদ চুক্তি ক্যাব প্রস্তাবিত জ্বালানি রূপান্তর নীতি বাস্তবায়নকে অসম্ভব করে তুলতে পারে। শুধু বিদেশি বিনিয়োগকারীর স্বার্থ রক্ষায় এই আন্তর্জাতিক আইনি কাঠামোটি একপেশেভাবে কার্যকর। তাই জাতীয় স্বার্থ রক্ষায় জ্বালানি সনদ চুক্তির বিরোধিতা করাটাই মূল কাজ। রাষ্ট্র কিছু প্রতিষ্ঠানের সুবিধার জন্য দেশের পরিবেশ প্রতিবেশ নষ্ট করে দিচ্ছে। এটা হতে পারে না। এই জ্বালানি চুক্তি স্বাক্ষরে আরো চিন্তা করা দরকার। এই চুক্তিকে না বলা জরুরি। তাই রাষ্ট্র যেন এই চুক্তিতে স্বাক্ষর না করে।  

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক শামসুল আলম বলেন, পাকিস্তান আমলের ২২ পরিবারের মতো বর্তমানেও সরকারকে ব্যবহার করে কিছু ব্যক্তি ও ব্যবসায়ী সুবিধা নিচ্ছে। তাই এ ধরনের জ্বালানি সনদ চুক্তি করলে পুনরায় তাদেরকে সুযোগ করে দেওয়া হবে। আমরা একটি পাওয়ার প্লান্ট চালাতে পারি না। বিদেশ থেকে প্রশিক্ষিত কর্মী আনতে হয়। আমাদের সক্ষমতা শুধু দেশের জ্বালানি খাতের কর্মকর্তাদের পদোন্নতি দেওয়া।  

তিনি বলেন, যে টাকা গ্যাস উৎপাদন ও উত্তোলনে খরচ করার কথা সেটি ব্যবহার করা হয়েছে আমদানিতে। জনগণের টাকা এভাবে খরচ করা লুন্ঠনের মতো। সমুদ্রের গ্যাস উত্তোলন করতে না পারলে স্থলের গ্যাস উত্তোলন করা যায় বাপেক্সকে দিয়ে। কিন্তু সেটি করা হচ্ছে না, করা হচ্ছে শুধু আমদানি যার ফলে মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে।  

তিনি বলেন, সংলাপে অংশগ্রহণ করেন প্রকৌশলী শুভ কিবরিয়া, অ্যাড. হুমায়ুন কবির, ক্যাবের কোষাধ্যক্ষ ড. মনজুর ই খোদাসহ দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত এনজিও ও বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা।  

বাংলাদেশ সময়: ১৩৫৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২২
এনবি/এসআইএস
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।