ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ মে ২০২৪, ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

স্বেচ্ছায় পাহারায় রোহিঙ্গা শিবিরে বদলে যাচ্ছে রাতের চিত্র

সুনীল বড়ুয়া, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ২, ২০২২
স্বেচ্ছায় পাহারায় রোহিঙ্গা শিবিরে বদলে যাচ্ছে রাতের চিত্র

কক্সবাজার: কক্সবাজারের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে একের পর এক সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড, বিশেষ করে রোহিঙ্গা নেতা মুহিব উল্লাহ হত্যাকাণ্ড এবং মাদ্রাসায় ৬ মার্ডারের ঘটনার পর নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে সাধারণ রোহিঙ্গারা।

ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের কারণে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এলেই ক্যাম্পগুলোতে থমথমে অবস্থা বিরাজ করে।

এমন পরিস্থিতিতে রাতের ‘স্বেচ্ছায় পাহারা ব্যবস্থা’ এই একটি উদ্যোগের কারণে বদলাতে শুরু করে রোহিঙ্গা শিবিরের চিত্র। লাঠি-বাঁশি নিয়ে এ পাহারা কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত রোহিঙ্গারাও মনে করছেন, ‘মাসে দুই দিন পাহারা দিলে, ৩০ দিন শান্তিতে ঘুমানো যায়। ’

অন্যদিকে শিবিরগুলোতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) বলছে, ‘রোহিঙ্গা ক্যাম্পে নিরাপত্তার জন্য ‘স্বেচ্ছায় পাহারা ব্যবস্থা’ একটি দর্শন।  
রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীকে সম্পৃক্ত করে এ পাহারা ব্যবস্থার কারণে ক্যাম্পগুলোতে অপরাধ কমেছে। পাশাপাশি অপরাধী ধরা পড়ার হার এবং অস্ত্র, ইয়াবা, মাদকসহ বিভিন্ন অবৈধ মালামাল উদ্ধার বেড়েছে অনেক গুণ’।

শিবিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত ৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে জানান, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রোহিঙ্গা নেতা মুহিব উল্লাহকে গুলি করে হত্যা করা হয় এবং ২২ অক্টোবর ১৮ নম্বর ক্যাম্পের একটি মাদ্রাসায় ছয়জন মাদ্রাসার ছাত্র ও শিক্ষককে হত্যার পর রোহিঙ্গা সদস্যরা নিরাপত্তা প্রশ্নে দিশেহারা হয়ে পড়েন। আইন-শৃঙ্খলার পরিস্থিতি নিয়ে আমরাও কিছুটা উদ্বিগ্ন হই। এমন পরিস্থিতিতে শিবিরগুলোতে চালু করা হয়, ‘স্বেচ্ছায় পাহারা ব্যবস্থা। ’

তিনি বলেন, এই পাহারা ব্যবস্থার কারণে অপরাধ ৯৫ শতাংশ কমে গেছে। অপরাধীদের গ্রেফতার বেড়েছে ৩ দশমকি ৬৩ গুণ, মাদক উদ্ধার বেড়েছে ৩ দশমিক ৬৬ গুণ, আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার বেড়েছে ৬ দশমিক ৫ গুণ, গুলি উদ্ধার বেড়েছে ৫৯ দশমিক ২২ গুণ এবং স্বর্ণ উদ্ধার বেড়েছে ২ দশমিক ৭৪ গুণ।
সরেজমিন রোহিঙ্গা শিবির:

২৭ জুলাই (বুধবার) রওয়ানা হই কক্সবাজার শহর থেকে টেকনাফ সড়ক ধরে ৬০ কিলোমিটার দূরে জামতলী রোহিঙ্গা শিবিরে। এপিবিএনের পুলিশ ক্যাম্প থেকে ১৫-২০ মিনিটের পথ গেলেই জামতলী ১৫ নম্বর ক্যাম্পের মুছাখোলা ব্লক। তখন রাত প্রায় ১২টা। রাস্তা ধরে সামনে এগুতেই চোখে পড়ে, কিছু দূর পর পর লাঠি হাতে দাঁড়িয়ে আছেন রোহিঙ্গা তরুণ ও যুবকরা। তাদের মুখে বাঁশি। কিছুক্ষণ পর পর তা বাজাচ্ছেন তারা। কোথাও সারিবদ্ধভাবে আর কোথাও কোথাও নিজেদের মতো করে পাহারা দিয়ে যাচ্ছেন তারা। তাদের লাঠির টক টক শব্দ, বাঁশির আওয়াজ আবার কোনো কোনো এলাকায়। এপিবিএন পুলিশের টহল দলের বিচরণের কারণে তখন যে গভীর রাত, সেটা মনে হচ্ছিল না। ক্যাম্পে ঘুরতে  ঘুরতে অনেকের সঙ্গে কথা হয়।  তাদের সঙ্গে কথা বলে মনে হলো, সন্ত্রাসীদের রুখতে রোহিঙ্গাদের মনোবল আগের চেয়ে অনেক শক্তিশালী হয়েছে। আর রাতের রোহিঙ্গা শিবিরের ভয়াবহ চিত্র, যেটি আমরা দীর্ঘ সময় ধরে শুনে আসছিলাম, সে রকমও মনে হয়নি।

জামতলী ১৫ নম্বর ক্যাম্পের জি ব্লকে আরও চারজনের সঙ্গে পাহারা দিচ্ছিলেন। সেখানে থাকা রোহিঙ্গা যুবক আব্দুল বাসেদ (৩০) জানালেন, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত তাদের সাবব্লক থেকে পাঁচজন করে পাহারা দেন। সারা রাত আমরা ব্লকে ঘুরি। বাঁশি বাজিয়ে বাজিয়ে খারাপ মানুষ আসে কিনা তা দেখি। ডাকাত বা অন্যান্য গ্রুপ যারা, আগে মানুষকে নির্যাতন করতো।  এরা আসার খবর পেলেই, পুলিশে খবর দিই। পুলিশ এসে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।

পাহারা চালুর পর থেকে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে অপরাধ কমে গেছে- যোগ করেন বাসেদ।

‘আঁরার (আমরা) মাসে দুই দিন পাহারা দিলে, আঁরার (আমাদের) মা বইনঅল (বোনরা) ৩০দিন শান্তিত ঘুমাইত পারে। পাহারার হারণে ক্যাম্পত এহন সন্ত্রাস হমি গেইয়েগই, শান্তি আইস্যে- এভাবেই বললেন একই দলের আরেকজন মো. হাসান (৩০)।

রাত প্রায় সাড়ে ১২টার দিকে জামতলী ক্যাম্পের মুছাখোলার ব্লক এইচ-১৯ এ নিজের ঘরের সামনে বসে আছেন রোহিঙ্গা নারী হামিদা (৪০)।  
হামিদার ভাষ্য, আগে রাতের বেলায় এভাবে বাইরে বসতে পারতাম না। ডাকাত ঢোকার ভয় ছিল।  আলইয়াকিনের ভয় ছিল। কখন কাকে কারা ধরে নিয়ে যায়।  এক ধরনের আতঙ্ক কাজ করতো। এখন পাহারা চালুর পর থেকে আমরা ভালো আছি। শান্তিতে ঘুমাতে পারছি।  

এই ক্যাম্পের হেড মাঝি মো. আয়াছ (৩৫) বাংলানিউজকে বলেন, প্রতিদিন পালাক্রমে প্রতি ব্লক থেকে ৫ জন করে পাহারা দেয়। এক ব্লক থেকে অন্য ব্লকের দূরত্ব ৫০-৬০ মিটার। পাহারা দেওয়ার সময় কোনো অপরিচিত লোকজন দেখা গেলেই সঙ্গে সঙ্গে এপিবিএন পুলিশকে ফোন করি, যাচাই-বাছাই করি। রাস্তায় কোন বাইরের লোকজন দেখলেই ভলান্টিয়াররা ধরে এপিবিএন পুলিশকে ফোন করেন।

‘আগে পাহারা ব্যবস্থা না থাকার কারণে অপহরণ, ধর্ষণ, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধরনের ক্রাইম হতো। এখন আর হয় না বলেন ওই মাঝি।  

এই পাহারা ব্যবস্থার কারণে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের কাছ থেকে কোনো হুমকি ধমকি আছে কিনা জানতে চাইলে বালুখালী ৯ নম্বর ক্যাম্পের হেডমাঝি মো. কামাল হোসেন বাংলানিউজকে বলেন, ‘পাহারাদারদের নয়, হেডমাঝিদের মোবাইল ফোনে মাঝেমধ্যে হুমকি আসে। এ ধরনের হুমকি এলে আমরা এপিবিএনকে অবগত করি। তারা ব্যবস্থা নেন। ’

জামতলী ক্যাম্পে রাতের টহল পরিচালনার সময়ে কথা হয় ৮ এপিবিএন- এর জামতলী পুলিশ ক্যাম্পের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) মো. শাহ আলমের সঙ্গে।

তিনি বলেন, আগে সাধারণ রোহিঙ্গারা ভয়ে অপরাধীদের তথ্য দিতে চাইতেন না। স্বেচ্ছায় পাহারা চালুর পর থেকে তাদের মধ্যেও পরিবর্তন এসেছে। মনোবল বেড়েছে।
পাহারা চলাকালে সব সময় রোহিঙ্গাদের পাশে থেকে তাদের সাহস জোগানো হয়। পাহারা চলাকালে কী করেন আর কী করেন না এসব বিষয়ে নিয়মিত নির্দেশনা দেওয়া হয়। যে কারণে অপরাধ কমে যাওয়ায় এখন রাতের রোহিঙ্গা শিবিরের চিত্রই পাল্টে গেছে।

যেভাবে শুরু স্বেচ্ছায় পাহারা ব্যবস্থা:

৮ এপিবিএন- এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. রবিউল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, গত বছরের ২৯ সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার কুতুপালং লাম্বাশিয়া ক্যাম্পে রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা গুলি করে হত্যা করেন রোহিঙ্গাদের শীর্ষ নেতা মাস্টার মুহিবুল্লাহকে। এরপর ২২ অক্টোবর রাতে পাশের ক্যাম্প-১৮ এলাকায় জামেয়া দারুল উলুম নাদুয়াতুল ওলামা আল ইসলামিয়া মাদ্রাসায় হামলা চালিয়ে ছয় রোহিঙ্গাকে হত্যা করা হয়। এ দুটি ঘটনার পর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিরাপত্তা নিয়ে সবার মধ্যে উদ্বেগ-উৎকন্ঠা দেখা দেয়।
‘এ সময় ভাবতে থাকি ভিন্ন ভাষা ও সংস্কৃতির এত বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে কীভাবে দুষ্কৃতিকারীদের নির্যাতন থেকে শান্তির বলয়ে আনা যায়। গত বছরের ২৩ অক্টোবর শফিউল্লাহকাটা এলাকায় ওই ছয়জনের মরদেহ দাফনে কাজ শেষ করা হয়। সেখান থেকে ফেরার সময় স্বেচ্ছায় পাহারার বিষয়টি মাথায় আসে। ওইদিনই পুলিশ ক্যাম্পে ফিরে শফিউল্লাহকাটা এবং জামতলী ক্যাম্পে এপিবিএনের কর্মকর্তা ও রোহিঙ্গা মাঝিদের নিয়ে জরুরি বৈঠক করি। এই বৈঠকে স্বেচ্ছায় পাহারার বিষয়টির ধারনা দিই।

আমাদের সহজ সরল বক্তব্য ছিল, ‘তোমরা ৫ জন আজকে একটি সাবব্লকে পাহারা দেবে, ওই ব্লকের ৫শ’ জন মানুষ শান্তিতে ঘুমাবে। আগামীকাল অন্য ৫ জন পাহারা দেবে, তোমরা শান্তিতে ঘুমাবে। ’ এভাবে ১৫-২০ দিন পর আবার তোমাদের পাহারা পড়বে’-বলেন রবিউল ইসলাম।

এরপর ২৩ অক্টোবর রাত থেকে জামতলী ও শফিউল্লাহকাটা দুটি ক্যাম্পের ১৪৭টি সাব-ব্লকে ৫ জন করে ৭৩৫ জন স্বেচ্ছায় পাহারা দেওয়া শুরু করেন। এই পাহারা পদ্ধতি ১৫দিন পর মূল্যায়ন করে দেখা যায়, এতে ভালো ফল আসছে। এরপর আরও ১১টি ক্যাম্পে বিস্তৃত করা হয় পাহারা ব্যবস্থা।  

রবিউল ইসলাম জানান, তাদের ১১টি ক্যাম্পের ৬৪টি ব্লকে সাব ব্লক রয়েছে ৭৭৩টি। এসব ক্যাম্পে ৩ লাখ ৬২ হাজারের বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছে। প্রতিদিন রাতে ৩ হাজার ৮৬৫ রোহিঙ্গা পাহারা দিচ্ছে।

চার স্থরের মনিটরিং ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে এ পাহারা কার্যক্রম চলে এ কথা জানিয়ে রবিউল ইসলাম জানান, ২৩ অক্টোবর থেকে চালুর পর ১০ মাসের মধ্যে ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ, অপহরণ, চাঁদাবাজি ও ভয়ভীতি প্রদর্শনের মতো অপরাধ কমেছে অনেক গুণ। অপরদিকে মাদক উদ্ধার বেড়েছে ৩ দশমিক ৬৬ গুণ, অস্ত্র উদ্ধার বেড়েছে ৬ দশমিক ৫ গুণ আর গ্রেফতারের সংখ্যা বেড়েছে ৩ দশমিক ৬৩ গুণ।

কোনো দিন, কোন ব্লকে, কোনো কোন রোহিঙ্গা পাহারা দিচ্ছেন, এসবের ডাটাবেইজ করা আছে জানিয়ে রবিউল ইসলাম বলেন, পাহারা ব্যবস্থার সঙ্গে কোনো দুষ্কৃতিকারী যেন সম্পৃক্ত হতে না পারেন, সেজন্য প্রতিদিনের তালিকা যাচাই-বাছাই করা হয়। উখিয়ার জামতলী ক্যাম্প থেকে চালু হওয়া স্বেচ্ছায় পাহারা ব্যবস্থা এখন উখিয়া-টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পে চলছে বলেও জানান ৮ এপিবিএনএর এই কর্কর্তা।
বর্তমানে ৩৩টি ক্যাম্পে চলছে পাহারা:

কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফে এখন রোহিঙ্গা শিবির রয়েছে ৩৩টি। ৩৩টি শিবিরে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়েজিত রয়েছে ৮, ১৪ ও ১৬ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন এপিবিএন।

এপিবিএন সূত্রে জানা গেছে, এখন উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি রোহিঙ্গা ক্যাম্পের ১ হাজার ৭৭৩টি সাবব্লকে এ স্বেচ্ছায় পাহারা ব্যবস্থা চালু করা হয়েছে। প্রতি ব্লকে ৫ জন করে প্রতি রাতে প্রায় ৯ হাজার তরুণ,যুবক ও মধ্যবয়সী রোহিঙ্গা পাহারায় অংশ নিচ্ছেন। তাদের হাতে লাঠি ও বাঁশি সরবরাহ করছে এপিবিএন পুলিশ।

জেলা পুলিশের তথ্য মতে, খুনোখুনি, অপহরণ, ধর্ষণ, মাদক ব্যবসা, চাঁদাবাজি, মানবপাচার ও অগ্নিসংযোগসহ ১৪ ধরনের অপরাধে জড়িত রোহিঙ্গারা। ২০১৭ সাল থেকে ২০২২ সালের জুন পর্যন্ত এসব অপরাধে এক হাজার ৯০৮টি মামলা হয়েছে । আর এ সময়ে খুন হয়েছেন ৯৮ জন।

৮ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সিহাব কায়সার বলেন, স্বেচ্ছায় পাহারা দেওয়ার বিষয়টি আমাদের দেশে পুরনো পদ্ধতি হলেও রোহিঙ্গাদের কাছে তা ছিল নতুন। এ পদ্ধতি রোহিঙ্গাদের নিজেদের নিরাপত্তায় সচেতনতা ও আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে। এর ফলে অপরাধ কর্মকাণ্ড আশানুরূপ হ্রাস পেয়েছে।

ইতোমধ্যে অনেক অপরাধী আটক ও অস্ত্র উদ্ধার হয়েছে। অনেক অপরাধী গ্রেফতার এড়াতে গা-ঢাকা দিয়েছে বলেন সিহাব কায়সার খাঁন।

প্রসঙ্গত মিয়ানমারে নির্যাতনের শিকার হয়ে কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের ৩৩টি আশ্রয় শিবির এবং নোয়াখালীর ভাসানচরে নতুন পুরনো মিলে ১২ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছে।

বাংলাদেশ সময়: ১০৩৯ ঘণ্টা, আগস্ট ০২, ২০২২
এসবি/এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।