ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ঈদের দিনেও বানভাসি মানুষের পাশে সিলেট জেলা পুলিশ

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৭ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২২
ঈদের দিনেও বানভাসি মানুষের পাশে সিলেট জেলা পুলিশ

সিলেট: সম্প্রতি ঘটে যাওয়া স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যায় সিলেট জেলার বিভিন্ন থানা এলাকাগুলোতে ব্যাপক ক্ষতিসাধন হয়। এতে পানিবন্দি হয়ে শুকনা খাবারের ওপর নির্ভরশীল হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন বন্যার্ত মানুষরা।

 

এ অবস্থায় বানভাসি মানুষের মধ্যে কিছুটা হলেও ঈদের খুশি ছড়িয়ে দিতে পেরেছে পুলিশ। পবিত্র ঈদুল আজহার দিন সিলেট জেলার ১১টি থানার মেসে রান্না করা (মাংস-পোলাও) খাবার বানভাসি মানুষের কাছে পৌঁছে দিয়েছে সিলেটের বিভিন্ন থানা পুলিশ।  

রোববার (১০ জুলাই) সিলেট জেলার পুলিশ সুপার (অ্যাডিশনাল ডিআইজি) মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের নির্দেশনায় বিভিন্ন বন্যার্ত এলাকায় এ খাবার পৌঁছে দেয় পুলিশের সদস্যরা।  

এতে সিলেটের বিশ্বনাথ থানার লামাকাজী ইউনিয়নের অন্তর্গত মাহতাবপুর সাকিনে বানভাসি মানুষের মধ্যে রান্না করা মাংস-পোলাও বিতরণ করেন বিশ্বনাথ থানা পুলিশের সদস্যরা।  

এছাড়া বিয়ানীবাজার থানার দুবাগ ইউনিয়নের অন্তর্গত বড়দেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে স্থাপিত আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় ৫০০ বানভাসি মানুষের মধ্যে রান্না করা মাংস-পোলাও বিতরণ করেন বিয়ানীবাজার থানা পুলিশের সদস্যরা।  

এ সময় জকিগঞ্জ সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাকির হোসাইন উপস্থিত থেকে বানভাসি মানুষের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কার্যক্রম তদারকি করেন।  

অন্যদিকে গোয়াইনঘাট থানার সদর ইউনিয়নের নয়াগ্রাম গুচ্ছ গ্রাম ও আলীরগাঁও গুচ্ছ গ্রামের দুটি বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষের মধ্যে রান্না করা মাংস-পোলাও বিতরণ করা হয়।  

সিলেটের বন্যায় সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত থানা কোম্পানীগঞ্জ। কোম্পানীগঞ্জ থানা পুলিশের সদস্যরা ১ নম্বর পশ্চিম ইসলামপুর ইউনিয়নের সাইফুর রহমান কলেজ, ইসলামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রাসাকেন্দ্র রান্না করা খাবার বিতরণ করেন।  

জকিগঞ্জ থানা এলাকার পৌরসভার অন্তর্গত পীরেরচকে একটি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ২৫০ বানভাসি মানুষকে খাদ্য বিতরণ করা হয়।  

কানাইঘাট ৪ নম্বর সাতবাক ইউনিয়নের অন্তর্গত দলইরমাটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে শতাধিক মানুষের মধ্যে রান্না করা খাবার বিতরণ করে কানাইঘাট থানা পুলিশের সদস্যরা।  

জৈন্তাপুর মডেল থানার নিজপাট ও দরবস্ত ইউনিয়নের আশ্রয়কেন্দ্রে রান্না করা খাবার বিতরণ করা হয়। গোলাপগঞ্জ থানার পৌরসভার অন্তর্গত বেদে পল্লীতে ও ফেঞ্চুগঞ্জ থানার ১ নম্বর সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত ফরিজা খাতুন উচ্চ বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে তিন শতাধিক ও বালাগঞ্জ থানার সদর ইউনিয়নের অন্তর্গত বালাগঞ্জ ডিগ্রি কলেজ আশ্রয়কেন্দ্রে তিন শতাধিক বানভাসি মানুষের মধ্যে রান্না করা মাংস-পোলাও বিতরণ করা হয়।  

এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিলেট জেলা পুলিশের মিডিয়া মুখপাত্র ও জেলা বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. লুৎফর রহমান জানান, ঈদের খুশি বানভাসি মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিনের নির্দেশে সিলেট জেলার ১১টি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা বিভিন্ন স্থানে বন্যার্তদের মধ্যে থানায় রান্না করা খাবার বিতরণ করেছেন। বন্যা পরবর্তী পুর্নবাসনেও জেলা পুলিশ বানভাসি মানুষের পাশে থেকে কাজ করার অঙ্গীকারবদ্ধ। আইজিপি ড. বেনজীর আহমেদের নির্দেশে সিলেটের চলমান ভয়াবহ বন্যায় সিলেট জেলা পুলিশের প্রতিটি সদস্য দেশ সেবায় ব্রত হয়ে কাজ করে যাচ্ছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৬ ঘণ্টা, জুলাই ১০, ২০২২
এনইউ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।