ঢাকা, বুধবার, ২৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ মে ২০২৪, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

হাটে ক্রেতা থাকলেও বিক্রি কম 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭২৪ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২২
হাটে ক্রেতা থাকলেও বিক্রি কম 

বরিশাল: পবিত্র ঈদুল আজহা বা কোরবানির ঈদের বাকি আর মাত্র একদিন। তাই শেষ মুহূর্তে এসে বরিশালের গরুর হাটগুলোতে ক্রেতাদের ভিড় থাকলেও বিক্রি হচ্ছে না তেমন একটা।

 

ক্রেতারা বলছেন, তুলনামূলক দাম বেশি হওয়ায় চাহিদার সঙ্গে বাজেটের মিল রেখে পশু কিনতে পারছেন না তারা। তাই এ হাট থেকে ওই হাটে গিয়ে পছন্দের পশু দেখছেন এবং দর করে যাচ্ছেন। আর বিক্রেতারা বলছেন, হিসেব কষলে গতবারের থেকে তেমন একটা দাম বাড়েনি এবারে। তবে হাটে ক্রেতার থেকে দর্শক বেশি।

বৃহস্পতিবার (৭ জুলাই) বিকেল থেকে বরিশাল নগরের প্রায় সব হাটেই প্রচুর গরু ও ছাগলের সংগ্রহ দেখা যায়। আবার প্রতিটি হাটে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে বিশাল আকৃতির বাহারি নামে একটি-দুটি গরু। যাকে ঘিরে মানুষের ভিড়ও দেখা গেছে।

বরিশালসহ কুষ্টিয়া, রাজশাহী, মোল্লার হাটের গরু বেশি ওঠা শহীদ আব্দুর রব সেরনিয়াবাত সেতুর নিচের অস্থায়ী হাটে মানুষের ভিড় ছিল বৃহস্পতিবার মধ্যরাত পর্যন্ত। কারণ হিসেবে ক্রেতারা বলছেন, এ হাটে সাদা রঙের ‘রাজা’, কালো রঙের ‘কালা’সহ চারটি বিশাল আকৃতির গরু ছিল সবার দৃষ্টিতে।  

তবে এদিন ছোট ও মাঝারি আকারের গরু বেশি বিক্রি হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাট পরিচালনাকারীরা। আর এ হাটেই বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার রানীরহাট এলাকার ২০ মণ ওজনের তুফান ৫ লাখ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

এদিকে হাটটিতে আলোচনায় থাকা রাজার মালিক মো. শহীদুল ইসলাম বলেন, চাকরির সুবাদে আমি বরিশালে থাকলেও ঝালকাঠির কাঁঠালিয়ায় বাড়িতে স্ত্রী ও সন্তানরা মিলে গবাদিপশু পালন করে। রাজাকে তারা খুব ভালোবাসে এবং সুন্দরভাবে লালন-পালন করেছে। ওরা যা খেয়েছে তাই খাইয়েছে। রাজা আম খায়, কলাও খায়। তবে এখন টাকার প্রয়োজনেই গরুটি বিক্রি করা হচ্ছে।

তিনি বলেন, এত দূর থেকে বরিশালের এ হাটে গরুটি এনেছি। দাম কমিয়ে ৫ লাখ টাকা চাচ্ছি। কিন্তু সবাই গরুটি দেখে, কেউ কেনে না।  

শহীদুল ইসলাম বলেন, টাকার জন্যই মূলত গরুটিকে বিক্রি করতে চাচ্ছি। এত দূর থেকে গরুটি নিয়ে এসেছি, কেউ জিজ্ঞাস করে না। সবাই গরুর সৌন্দর্য দেখে চলে যায়। এ হাটে দাম পাচ্ছি না। তাই দাম কমিয়ে মাত্র ৫ লাখ টাকা চাচ্চি। তবুও কাস্টমার নেই।

অন্যদিকে কালো রঙের ষাঁড় ‘কালা’র মালিক মো. সবুজ জানান, তার পালিত গরুটির দাম চাচ্ছেন ৭ লাখ। ৫ লাখ পর্যন্ত দাম উঠেছে। কিন্তু বিক্রি করেননি। এখন হাটে ক্রেতার থেকে দর্শক বেশি। তাই ক্রেতা বাড়লে গরুটি বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা তার।

বিভিন্ন হাট ঘুরে বরিশাল নগরের কাউনিয়া এলাকার বাসিন্দা জিয়াউল করিম বলেন, হাটগুলোতে প্রচুর পশু রয়েছে। তবে সবাই যেন কেমন দাম বাড়িয়ে চাচ্ছে। হিসেব অনুযায়ী না মেলায় এখনও গরু কিনতে পারেননি। তাই আগামী শনিবার (৯ জুলাই) পর্যন্ত হাটগুলোতে চষে বেড়াবেন বলে জানান তিনি।

এদিকে হাটগুলোতে আসা ক্রেতা-বিক্রেতাদের নিরাপত্তায় সিসি ক্যামেরাসহ সাদা ও পোশাকধারী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের উপস্থিতি রয়েছে চোখে পড়ার মতো। যদিও স্বাস্থ্যবিধি মানতে ক্রেতা-বিক্রেতাদের মধ্যে মাস্কের ব্যবহারে তেমন একটা আগ্রহ দেখা না গেলেও পশু চিকিৎসক এবং জালনোট শনাক্তের মেশিন দেখা গেছে হাটগুলোতে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, জুলাই ০৮, ২০২২
এমএস/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।