ঢাকা, বুধবার, ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৫ মে ২০২৪, ০৬ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

বড় গরু নিয়ে বিপাকে বিক্রেতারা

মাছুম কামাল, স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩১ ঘণ্টা, জুলাই ৮, ২০২২
বড় গরু নিয়ে বিপাকে বিক্রেতারা এবার কোরবানিতে বড় গরুর চাহিদা কম। ছবিটি রাজধানীর আফতাবনগর হাট থেকে তুলেছেন-শাকিল আহমেদ

ঢাকা: দরজায় কড়া নাড়ছে ঈদুল আজহা। আত্মত্যাগের মহিমায় কোরবানিকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে রাজধানীর বিভিন্ন পশুর হাট।

তবে, হাটে নিয়ে আসা বড় গরু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন বিক্রেতা/ব্যাপারীরা।

শুক্রবার (৮ জুলাই) রাজধানীর আফতাবনগর ও মেরাদিয়া পশুরহাট সরেজমিনে ঘুরে দেখা গেছে, বড় গরুগুলোর আশপাশ ফাঁকা। ক্রেতা-দর্শনার্থীদের তেমন ভিড় নেই। ফলে, হতাশ বিক্রেতারা। কেউ-কেউ রীতিমতো ঘুমিয়ে পড়েছেন!

১৫ মণ ওজনের ‘বড় বাবু’ নামে একটি গরু নিয়ে বিক্রির উদ্দেশ্যে টাঙ্গাইল থেকে হাটে এসেছেন ফরিদ নামে এক ব্যাপারী। ১২ লাখ টাকা দাম চান গরুটির। বাংলানিউজকে বলেন, এত বড় গরু এলাকায় বিক্রি করতে অসুবিধা হবে দেখে এখানে নিয়ে এলাম। এখানেও বিক্রি করতে পারছি না, টেনশনে আছি। এই গরু পালতে অনেক খরচ হয়ে গেছে। পিকআপ ভাড়া করে এখানে আনতেও অনেক খরচ পড়েছে। জানি না কি হবে? শেষ পর্যন্ত বিক্রি কর‍তে না পারলে শেষ হয়ে যাব।

একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন ‘রাজাবাবু’ ও ‘মাস্টারবাবু’ নামে দুটি যথাক্রমে ২০ মণ ও ১৮ মণ ওজনের গরু নিয়ে জামালপুরের ঢালুর চর এলাকা থেকে আসা হোসেন মিয়া। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, অন্যান্যবার দেখেছি অনেকেই বড় গরু কিনতে হুমড়ি খেয়ে পড়েন। তবে এবারের চিত্র ভিন্ন। কী যে হবে, কেউ দামও জিজ্ঞেস করছে না।

কয়েকজন খামারির কাছে দেখা গেছে, টেলিভিশন, ব্লেন্ডারসহ বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস আইটেম। বড় মাপের পশুগুলোর সঙ্গে উপহার হিসেবে ফ্রি দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তারা। মূলত, ক্রেতাদের আকর্ষণ করতেই এমন অভিনব আয়োজন।
 

এদিকে, ভিন্ন তথ্য দিলেন এক সহকর্মী। সকাল থেকেই হাটে অবস্থান করছেন তিনি। ছিলেন গাবতলী, শাজাহানপুরসহ একাধিক পশুরহাটে। বাংলানিউজকে তিনি বলেন, এই গরুগুলো হয়ত বিক্রি হয়ে যে। কিন্তু, কিছু ভিডিও ব্লগার, ইউটিবাররা একটা ‘হাইপ’ তৈরির জন্য বিক্রেতাদের ফুঁসলিয়ে স্বাভাবিকের তুলনায় অনেক বেশি দাম হাঁকাতে বাধ্য করেছেন। ফলে, এখনো এগুলো অবিক্রিত রয়ে গেছে।

অন্যদিকে, ক্রেতারা জানাচ্ছেন, দ্রব্যমূল্যের দাম বৃদ্ধি, বাজারের অস্থিরতার কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। ফলে, মধ্যম ও ছোট আকারের গরু কেনার দিকে ঝুঁকেছেন তারা।

তবে, মেরাদিয়া বাজারে ছাগলের হাটে তেমন ক্রেতা দেখা যায়নি। বিক্রির জন্য ছাগল নিয়ে আসা এক বিক্রেতা বাংলানিউজকে বললেন, কেউ-কেউ কোরবানির জন্য, খাসি বা ছাগী কিনছেন। তবে, সে হারে এখনো বাজার জমেনি। আশায় আছি, আজ (৮ জুলাই) ভাল বেচাকেনা হবে।

আগামী রোববার (১০ জুলাই) অনুষ্ঠিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। বিক্রেতাদের আশা, এর মধ্যেই পশুগুলো বিক্রি করে লাভবান হবেন তারা। অপরদিকে, নায্য দামে পছন্দের পশুটি কোরবানির জন্য কিনতে পারবেন এমনটিই প্রত্যাশা ক্রেতাদের।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৩০ ঘণ্টা, ৮ জুলাই, ২০২২
এমকে/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।