ঢাকা, রবিবার, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ১৯ মে ২০২৪, ১০ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

সরকারের পদক্ষেপে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয়: বাণিজ্যমন্ত্রী

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০৩৯ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
সরকারের পদক্ষেপে নিত্যপণ্যের দাম সহনীয়: বাণিজ্যমন্ত্রী

ঢাকা: সরকারের পদক্ষেপে ভোজ্যতেলসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম স্থিতিশীল ও সহনীয় রয়েছে বলে জাতীয় সংসদ অধিবেশনে জানিয়েছেন বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি।

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রীদের জন্য নির্ধারিত প্রশ্নোত্তর পর্বে বিরাধী দল জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য নাসরিন জাহান রত্নার এক প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এ কথা বলেন।

এ দিন প্রশ্নোত্তর টেবিলে উপস্থাপিত হয়। এ সময় স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার ফলে ভোজ্যতেলসহ অন্যান্য নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল ও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রীর মূল্য আন্তর্জাতিক বাজারে যখন বাড়ে তখন দেশে আন্তর্জাতিক বাজার থেকে অধিক পরিমাণে বাড়ানো হয়, যখন কমে তখন আন্তর্জাতিক বাজার থেকে সমপরিমাণ কমানো হয় না—এই বক্তব্য ঠিক নয়।

সরকারি দল আওয়াম লীগেয় সদস্য মো. মোজাফ্ফর হোসেনের এক প্রশ্নের উত্তরে টিপু মুনশি বলেন, বাংলাদেশ যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, ফ্রান্স, ইতালি, নেদারল্যান্ডস ও বেলজিয়ামসহ ইউরোপের বিভিন্ন দেশ এবং জাপান, কানাডা, দক্ষিণ কোরিয়া, ভারত ও এশিয়ার বিভিন্ন দেশ ও মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে পণ্য রপ্তানি করে থাকে। ২০২০-২১ অর্থবছরে বিশ্বের ২০৩টি দেশে ৭৫১টি পণ্য রপ্তানি করা হয়েছে। পণ্য রপ্তানি করে এই সময়ে ৩৮ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করেছে বাংলাদেশ।

আওয়ামী লীগের আরেক সদস্য আবুল কালাম আজাদের এক প্রশ্নের জবাবে বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, কিছুদিন আগে সয়াবিন তেল মজুদ করে বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে সরকারের বিরুদ্ধে জনসাধারণকে দাঁড় করানোর অপচেষ্টার জন্য দায়ীদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। সয়াবিন তেল মজুদ করে বাজারে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ইতোমধ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে পরিচালিত বাজার মনিটরিং টিম দায়ী ব্যক্তিদের জরিমানা করেছে।

জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে পরিচালিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনার মাধ্যমে দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে। পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলাও রুজু করা হচ্ছে। এ ছাড়া সয়াবিন তেলের বাজার পরিস্থিতি স্থিতিশীল রাখতে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সয়াবিন তেলে উৎপাদনকারী/রিফাইনারি মিলসমূহে, পাইকারি বাজার ও খুচরা বাজা তদারকি/অভিযান চালানো হয়েছে।

চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছরের ১ ফেব্রুয়ারি ২০২২ থেকে ৩১ মে ২০২২ পর্যন্ত বিভিন্ন অপরাধে ৯ হাজার ৭৫০টি প্রতিষ্ঠানকে ৬ কোটি ৭৮ লাখ ২৭ হাজার ৪০০ টাকা টাকা জরিমানা আরোপ ও আদায় করা হয়েছে বলে জানান বাণিজ্যমন্ত্রী।

বাংলাদেশ সময় ২০২০ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০২২
এসকে/এমজেএফ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।