ঢাকা, সোমবার, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

গ্রেগরিজ-৯৬ ব্যাচের নতুন পোশাক পেয়ে খুশি এতিম শিশুরা

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪৩২ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
গ্রেগরিজ-৯৬ ব্যাচের নতুন পোশাক পেয়ে খুশি এতিম শিশুরা

ঢাকা: ইলমা, অবন্তি, লিমু। এদের বয়স চার থেকে ১৫/১৬ বছর।

কারো মা নেই, কারো নেই বাবা। আবার কেউ হারিয়েছেন মা-বাবা দুজনকেই। যে বয়সে মায়ের কোলে থাকার কথা সেই বয়সে তারা এতিমখানায় অপরিচিত কিছু মানুষের স্নেহে বেড়ে উঠছেন মাতৃ-মমতায়।  

বাবা-মা হারানো এসব এতিম শিশুদের এবারো ইফতার আয়োজন ও ঈদের নতুন পোশাক তুলে দিয়েছেন সেন্ট গ্রেগরিজ স্কুল অ্যান্ড কলেজের এসএসসি-৯৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।  

চাইনিজ রেস্টুরেন্টে বসে প্লেটভরা হরেক পদের ইফতার ও ঈদের নতুন জামা পেয়ে এসব এতিম শিশুদের চোখেমুখে ছিল অনাবিল আনন্দ। ঈদের নতুম জামা পেয়ে অনেকেই খুশিতে নেচে উঠে।  

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) রাজধানীর পুরান ঢাকার কাঠেরপুল এলাকায় ড্রিম২০ রেস্টেুরেন্টে বেসরকারি মাদক নিরাময় কেন্দ্র ‘বারাকা’র প্রায় অর্ধশত শিশুকে নিয়ে এ আয়োজনে সেন্ট গ্রেগরিজের প্রাক্তন শিক্ষক-ছাত্ররাও উপস্থিত ছিলেন।  

যেসব এতিম শিশু এসেছিল তার মধ্যে একজনের নাম লিমন। চাইনিজ রেস্টুরেন্টে ইফতারে এসে কেমন লাগছে, জানতে চাইলে লিমনের অভিব্যক্তি- খুবই ভালো।

বরিশালের গৌরনদীর মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে ২০১৬ সালে ঢাকার সদরঘাটে আসে লিমন। পরে তার ঠাঁই হয় বারাকায়। সেখান থেকে টাইলসের কাজ করে লিমন। তবে যোগাযোগ হয় বাড়িতে।  

ঈদে বাড়ি যাবে না, প্রশ্নে লিমনের উত্তর- এখানে অনেক বাচ্চা আছে, তাদের কারো মা-বাবা নেই। তাদের ছড়ে কেমনে যামু। বাড়িতে যেতে ভালো লাগতেছে না।  

টাঙ্গাইলের মো. শ্যামলের (১৫) বাবা মারা যাওয়ার এক মাস পর মাও মারা যায়। ঢাকায় ভবঘুরের মতো ঘুরতে ঘুরতে তার স্থান হয় বারাকায়। এখানে থেকে সে মুদি দোকানে কাজ করে। ইফতার করতে এসে তারও ভালো লাগছে বলে জানান।

এবারের আয়োজনে উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক আবুল কাশেম। তিনি বারাকার ইনচার্জ। আবুল কাশেম বলেন, এতিন শিশুদের নিয়ে গ্রেগরিজের ছাত্ররা যে আয়োজন করেছে তার প্রশংসা করে শেষ করা যাবে না। এ ধরনের উদ্যোগ শিক্ষক হিসেবে আমার বুক গর্বে ভরে যায়।  

গ্রেগরিজের ৯৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা জানান, প্রতিবছর তারা এতিম শিশুদের নিয়ে ইফতার ও নতুন জামা বিতরণের আয়োজন করে থাকেন। এ আয়োজনে সবাই স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নেয়।  

৯৬ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি আরও উপস্থিত ছিলেন বারাকার প্রোগ্রাম অফিসার এন্থনি গোমেজ, কাউন্সিলর তানিয়া সুলতানা, সাইক্লোজিস্ট মারিয়া জামান।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৪২৯ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
এমআইএইচ/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।