ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২৩ মে ২০২৪, ১৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

ভিড় বেড়েছে টুপি, আতর আর জায়নামাজের দোকানে

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৯১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ৩০, ২০২২
ভিড় বেড়েছে টুপি, আতর আর জায়নামাজের দোকানে

ঢাকা: পবিত্র লাইলাতুল কদর পেরিয়ে রোজা প্রায় শেষ। করোনার ঝামেলা না থাকায় ঈদের কেনাকাটার পর্বও চুকিয়ে ফেলেছেন বেশির ভাগ মানুষ।

এখন চলছে শেষ মুহূর্তের টুকিটাকি কেনাকাটার পালা।

রোজা শেষ হয়ে আসবে খুশির ঈদ। সকালে ঈদের নামাজ পড়তে যাবেন নতুন পাঞ্জাবি পরে। তাতে আতরের সুবাস আর মাথায় টুপি না থাকলে কি আর চলে! নতুন পোশাক কেনার পর ক্রেতারা তাই এখন ভিড় জমাচ্ছেন টুপি, আতর আর জায়নামাজের দোকানে।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) বায়তুল মোকাররম মসজিদের উত্তর গেট, দক্ষিণের গেট-সংলগ্ন ফুটপাতের দোকানগুলোতে আতর-তসবির বিক্রিবাট্টা বেশ জমে উঠতে দেখা গেছে। এসব দোকানে বিভিন্ন দামের বিভিন্ন ধরনের সুগন্ধির সঙ্গে পাওয়া যাচ্ছে টুপি, তসবি, সুরমা ও জায়নামাজ।

দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রোজার মাসের শুরু থেকেই টুপি-আতর-তসবির বিক্রি বেড়ে যায়। আর কেনাবেচার এই রমরমা ভাব চলবে ঈদের নামাজের আগ পর্যন্ত।

আতর-টুপির ব্যবসায়ীরা জানান, বেচাকেনা বরাবরের মতোই। তবে করোনার জন্য যে ক্ষতি, সেই ক্ষতির ধাক্কা তারা এখনো সামলে উঠতে পারেননি। তবুও আশা রাখছেন এবার ব্যবসা কিছুটা ভালো হবে।

আতর ও টুপি ব্যবসায়ী দেলোয়ার হোসেন জানালেন, কম দামের মধ্যে এবার সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে লন্ডন ম্যাগনেট, জান্নাতুল ফেরদাউস, রজনীগন্ধা, বকুল আর বেলিফুলের আতর। প্রতি তোলার দাম পড়ছে ১০০ থেকে ২০০ টাকা। এছাড়া বডি স্প্রের মতো ওয়ান ম্যান শো, আল হারমাইন মদিনা, মেইজ, সানডে, এক্সের চাহিদাও রয়েছে অনেক। বডি স্প্রের মতো এসব সুগন্ধি কিনছেন মূলত তরুণেরা।

মধ্যম দামের মধ্যেও রয়েছে নানা ধরনের আতর। বেশি দামের আতরের মধ্যে রয়েছে ২০ হাজার টাকা তোলা দরে আল হারমাইন শেখ, সৌদি আরবের ১২ হাজার টাকা প্রতি তোলা দরে উদ আতর।

মোজাম্মেল হকসহ অন্যান্য টুপির দোকানিদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেল, এবার নতুন টুপির চাহিদাও আছে বেশ। পুঁতির কাজ করা টুপি ১৫০ থেকে ৩০০ টাকা। গোল টুপির দাম ৫০ থেকে ৫০০ টাকা। বাচ্চাদের চুমকি বসানো টুপি মিলবে ১০০-২৫০ টাকায়। সোনালি সুতার কাজ করা টুপি পাবেন ৭০০ থেকে ১,৩০০ টাকা। আর সাধারণ টুপির দাম পড়বে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা।

এছাড়া সুরমার দিক থেকে বাজারের সবচেয়ে ভালো মানের সুরমা মিসরের। এর প্রতি তোলার দাম সাড়ে ৩০০ টাকা। পাকিস্তানি সুরমার তোলা ১৫০ টাকা এবং ভারতীয় সুরমা ১২০ টাকা তোলা।

রোজার শেষ দিনগুলোতে জায়নামাজের বিক্রিও বেশ বেড়েছে। সবচেয়ে কম দামের মোটা সুতি কাপড়ের জায়নামাজের দাম ১২০ টাকা। মখমলের তৈরি পাকিস্তানি জায়নামাজ পাওয়া যাবে ৫০০ থেকে দেড় হাজার টাকায়। ইন্দোনেশিয়ার মখমলের জায়নামাজের দাম ৬০০ থেকে সর্বোচ্চ দুই হাজার টাকা পর্যন্ত।

এনামুল হক নামের এক ক্রেতা বায়তুল মোকাররম মসজিদ মার্কেট থেকে টুপি ও আতর কিনলেন। বললেন, ‘ছেলে, নাতি আর আমি সবাই মিলে আতর মেখেই ঈদগাহে যাবো। ঈদের দিন নতুন টুপি আর আতরের সুঘ্রাণ না থাকলে কি চলে!

রোজার শেষ দিনগুলো বেশি বেশি ইবাদত-বন্দেগির মধ্য দিয়েই কাটাতে চেষ্টা করবেন ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা। সারা মাসের এই সিয়াম, সংযম, আত্মশুদ্ধির সাধনার পরিসমাপ্তি ঘটবে ঈদের আনন্দের মধ্য দিয়ে।

বাংলাদেশ সময়: ০৯১৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ২৯, ২০২২
এইচএমএস/এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।