ঢাকা, সোমবার, ৩০ বৈশাখ ১৪৩১, ১৩ মে ২০২৪, ০৪ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

‘মাইনষের বাড়ি কাম কইরা মাইয়ারে খাওয়াইতাম’

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২০ ঘণ্টা, মার্চ ৯, ২০২২
‘মাইনষের বাড়ি কাম কইরা মাইয়ারে খাওয়াইতাম’

কুমিল্লা: রুমা আক্তারের বাবা-ভাই কেউ নেই। চাঁদপুরের হাজীগঞ্জে বিয়ে হয় তার।

এদিকে স্বামী মাসুম অপ্রকৃতস্থ। ওই ঘরে দুই সন্তান হয় রুমার। কিন্তু স্বামীর পাগলামি ভালো না হওয়ায় বাধ্য হয়েই গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার বিজয়পুর ইউপির দুর্গাপুরে চলে আসেন তিনি। সেখানে ভাঙাচোরা একটি ঘরে দুই মেয়ে ও বোনসহ থাকতেন তিনি।

বুধবার (৯ মার্চ) দুপুর পৌনে ১২টার দিকে স্কুলে যাওয়ার পথে চট্টগ্রামগামী মহানগর প্রভাতী ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত হয় তার বড় মেয়ে মীম।  

রুমা আক্তার বিলাপ করতে করতে বলেন, ‘মাইনষের বাড়িতে কাম কইরা মাইয়ারে খাওয়াইতাম। আমার স্বামী নাই, বাবা নাই, ভাইও নাই রে। আমি কারে নিয়া থাকমু মা (মীম) কইয়া যাও রে। আমার এত কষ্টের মাইয়া কই পামু রে। ’

রুমা আক্তার কেঁদেই চলেন। তার ফাঁকে মীমের কবরের জন্য মাপ নিয়ে যান এক প্রতিবেশী।

>>> কুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে প্রাণ গেল ৩ স্কুলছাত্রীর
>>> ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ ছাত্রী নিহত: তদন্ত কমিটি গঠন


বাংলাদেশ সময়: ১৮২০ ঘণ্টা, মার্চ ০৯, ২০২২
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।