ঢাকা, শনিবার, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ১১ মে ২০২৪, ০২ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১১২ ঘণ্টা, মার্চ ৪, ২০২২
মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিয়ম হলে ব্যবস্থা

ঠাকুরগাঁও: ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব আবুল কাসেম মোহাম্মদ শাহীন বলেছেন, মডেল মসজিদ নির্মাণের সময় প্রকৌশল নির্মাণশৈলী ভালো হয়নি। পরিকল্পণায় ত্রুটি রয়েছে অভিযোগ প্রমাণিত হলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বৃহস্পতিবার (৩ মার্চ) ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর মডেল মসজিদ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

উপসচিব আবুল কাসেম মোহম্মদ শাহীন বলেন, হরিপুর মডেল মসজিদ নির্মাণে অনিয়ম এবং অব্যবস্থাপনা সম্পর্কে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে সংবাদ প্রকাশের পরিপ্রেক্ষিতে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী ফরিদুল হক খান এবং ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব এনামুল হাসান এনডিসি’র দৃষ্টি গোচর হয়। তাদের স্বদয় দৃষ্টিতে আমি মসজিদটি পরিদর্শনে এসেছি। মসজিদ নির্মাণে তত্ত্বাবধায়ন, নিয়ম-অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এসব খুটিয়ে দেখা হয়েছে। বিষয় গুলো ঢাকায় গিয়ে আমি আমার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করার পর বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

স্থানীয় আতঙ্কিত জনগণ ফাটলের বিষয়ে অনিয়মের প্রশ্ন তুলেছে সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এ মসজিদ ভবন নির্মাণকালে অনিয়ম, অব্যবস্থাপনা এবং প্রকৌশলগত নির্মাণশৈলী ততটা বাস্তবায়ন হয়নি এবং যেভাবে পরিকল্পিতভাবে হওয়ার কথা ছিল সেভাবে হয়নি এটা আমার আপাত দৃষ্টিতে মনে হয়েছে। মসজিদ নির্মাণ কাজে অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনার কোনো কিছু প্রমাণ হলে সরকার নিশ্চয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জনগণকে আশ্বস্ত করেন তিনি।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আব্দুল করিম, উপজেলা চেয়ারম্যান জিয়াউল হাসান মুকুল, স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যানসহ জেলার কর্মরত প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার কর্মীরা।

সম্প্রতি বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় হরিপুর মডেল মসজিদে ফাটলের সংবাদ প্রকাশ হয়।

গণপূর্ত বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সারা দেশে ৫৬০টি মডেল মসজিদ নির্মাণ প্রকল্পের আওতায় ২০১৮ সালের শেষ দিকে গণপূর্ত অধিদপ্তর মসজিদটির নির্মাণকাজ শুরু করে। গত বছরের ২১ জুন ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে মসজিদটি আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গণপূর্ত জানায়, এর নির্মাণব্যয় ধরা হয়েছে ১২ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নির্মাণ শেষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন কাজটি বুঝে নেওয়ার কথা। তবে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তর না করায় মসজিদটির ব্যবহার এখনও শুরু হয়নি।

তবে এর আগে মসজিদটি পরিদর্শন করেছিলেন ঠাকুরগাঁও গণপূর্ত বিভাগের উপবিভাগীয় প্রকৌশলী (সিভিল) এম কে এম নুরুল হাসান।  

মসজিদটি সরেজমিন পরিদর্শন করে তিনি ফাটলের বিষয়ে স্থানীয়দের আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই বলে জানান।

বাংলাদেশ সময়: ০১১১ ঘণ্টা, মার্চ ০৪, ২০২২
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।