ঢাকা, শুক্রবার, ২৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১০ মে ২০২৪, ০১ জিলকদ ১৪৪৫

জাতীয়

‘ইভ্যালির চেক দেখালে ব্যাংক জানায় অ্যাকাউন্ট ব্লকড’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১১৫৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২২
‘ইভ্যালির চেক দেখালে ব্যাংক জানায় অ্যাকাউন্ট ব্লকড’ ছবি: সংগৃহীত

সাভার (ঢাকা): দেশের আলোচিত ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির কাছে পাওনা টাকার দুটি চেক পেয়েছেন মো. আব্দুল আহাদ নামের এক গ্রাহক। কিন্তু সেই চেকগুলো ব্যাংকে জমা দিলে ব্যাংক বলছে অ্যাকাউন্ট ব্লকড।

এই চেকগুলো ফেরত নিয়ে নগদ টাকা চেয়ে আদালতের মাধ্যমে ইভ্যালি কর্তৃপক্ষের কাছে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়েছে।

মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় গ্রাহক আব্দুল আহাদ লিগ্যাল নোটিশের ঘটনাটি বাংলানিউজকে নিশ্চিত করেন।

এর আগে, রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) ভুক্তভোগী গ্রাহক আহাদের পক্ষে ঢাকা জর্জ কোর্টের আইনজীবী আব্দুল ওয়ারেজ এই লিগ্যাল নোটিশ ডাকযোগে পাঠান।

ইভ্যালি ডট কম লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. রাসেল, চেয়ারম্যান সামিমা নাসরিন ও অ্যাডমিন মো. হাসানের নামে এই লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।

লিগ্যাল নোটিশে বলা হয়েছে, ভুক্তভোগী আব্দুল আহাদ ইভ্যালিতে বিজ্ঞাপন দেখে ৫টি মোটরসাইকেল কেনার জন্য অগ্রীম টাকা নগদের মাধ্যমে প্রদান করেন। একটি মোটরসাইকেলের মূল্য ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা। সব মিলিয়ে ৫টি মোটরসাইকেলের মূল্য আসে ১৪ লাখ টাকা। এই মোটরসাইকেলগুলো ইভ্যালি থেকে ৪৫ দিনের মধ্যে বুঝিয়ে দেওয়ার কথা থাকলেও তা ইভ্যালি দেয়নি। পরে মোটরসাইকেল স্টকে না থাকায় বর্তমান বাজার মূল্যে আহাদকে মিডল্যান্ড ব্যাংক লিমিটেডের দু’টি ২৫ লাখ টাকার চেক প্রদান করা হয়।

সেই চেক ব্যাংকে জমা দিলে ব্যাংক থেকে বলা হয় অ্যাকাউন্ট ক্লোজড/ব্লকড। এ বিষয়টি ইভ্যালি কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা টাকা নগদ দেওয়ার কথা বলে ঘুরাতে থাকে। যেহেতু চেক ফেরত এসেছে সেহেতু ইভ্যালি কর্তৃপক্ষ ১৩৮/১৪০ শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছে।

তাই আগামী ৩০ দিনের ভেতরে আহাদের কাছে থেকে দু’টি চেক ফেরত নিয়ে ২৫ লাখ টাকা না দিলে নেগোশিয়েবল ইন্সট্রুমেন্ট অ্যাক্টের সেই ধারায় আহাদ মামলা করতে বাধ্য থাকবে।

বিষয়টি নিয়ে ভুক্তভোগী আব্দুল আহাদ বাংলানিউজকে বলেন, আমি দীর্ঘ দিন থেকে ইভ্যালির পেছেনে ঘুরেছি। কিন্তু তারা আমার সঙ্গে টাকা নিয়ে প্রতারণা তো করছেই, এখন আবার চেক নিয়েও প্রতারণা করেছে। তারা আমার পণ্য না দিতে পেরে বর্তমান বাজার মূল্যে টাকার চেক দিয়েছে। সেই চেক ব্যাংকে দিলে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ বলছে, অ্যাকাউন্ট ব্লকড। বিষয়টি নিয়ে আমি ইভ্যালির বর্তমান কর্তৃপক্ষকে জানালে তারা নানা তালবাহানা করছে। এর জন্য আমি আইনের আশ্রয় নিয়েছি।

এ বিষয়ে জর্জ কোর্টের আইনজীবী আব্দুল ওয়ারেজ বাংলানিউজকে বলেন, ইভ্যালির ফাঁদে পড়ে আমার মক্কেল এখন পর্যন্ত ব্যবসায়িক ঋণের বোঝা বয়ে চলছে। এটা নিয়ে সুষ্ঠু সমাধান হওয়া দরকার। এজন্য আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। লিগ্যাল নোটিশের জবাব না পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেব আমরা।

প্রসঙ্গত, গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর সাভারের বলিয়াপুর ওয়ার হাউজ থেকে পণ্য বিক্রির বিষয়টি হাতে নাতে ধরেছিলেন মো. আব্দুল আহাদ।

বাংলাদেশ সময়: ১১৫৯ ঘণ্টা, ০৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২২
এসএফ/জেডএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।