ঢাকা, মঙ্গলবার, ৬ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২০ মে ২০২৫, ২২ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

পঞ্চগড় হানাদার মুক্ত দিবসে সভা ও শোভাযাত্রা

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২:২৪, নভেম্বর ২৯, ২০১৮
পঞ্চগড় হানাদার মুক্ত দিবসে সভা ও শোভাযাত্রা পঞ্চগড় হানাদার মুক্ত দিবস

পঞ্চগড়: ২৯ নভেম্বর পঞ্চগড় হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে শত্রুমুক্ত হয় পঞ্চগড় জেলা। দিনটি উপলক্ষে বদ্ধভূমিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি, বিজয় শোভাযাত্রা ও আলোচনা সভাসহ নানান কর্মসূচি পালন করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২৯ নভেম্বর) বেলা ১১টার দিকে জেলা প্রশাসন ও মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আয়োজনে সার্কিট হাউসের সামনে বঙ্গবন্ধুর ম্যুরালে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে দিবসটি উৎযাপন শুরু হয়।

পরে ডিসি অফিসের সামনে বদ্ধভূমিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিয়ে একটি বিজয় শোভাযাত্রা শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

পরে জেলা পরিষদ চত্বরে অবস্থিত ৭১ এর বদ্ধভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মরণ করা হয়।

শোভাযাত্রায় মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান, স্কুল-কলেজের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও জেলা প্রশাসনসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নেন।

পরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক গোলাম আজমের সভাপতিত্বে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমপ্লেক্সে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন- পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক (ডিসি) সাবিনা ইয়াসমিন, পুলিশ সুপার (এসপি) গিয়াস উদ্দীন আহম্মেদ, পঞ্চগড় সদর থানার মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার ইসমাইল হোসেন প্রমুখ।  

দিনটি উপলক্ষে সন্ধ্যায় সরকারি অডিটোরিয়ামে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চের পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সারাদেশে আক্রমণ শুরু করলেও ১৬ এপ্রিল পর্যন্ত পঞ্চগড় মুক্ত থাকে। হানাদার পাকবাহিনী সড়ক পথে এসে ১৭ এপ্রিল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পঞ্চগড় দখল করে নেয়। পরবর্তীকালে জেলার চারটি থানা তারা দখলে নিলেও পঞ্চগড় থেকে তেঁতুলিয়াগামী মহাসড়কের চাওয়াই নদীর ওপর নির্মিত সেতু (অমরখানা ব্রিজ) ডিনামাইট দিয়ে উড়িয়ে দেওয়ায় তেঁতুলিয়া ঢুকতে পারেনি তারা।

মুক্তিযুদ্ধের পুরো সময়কাল তেঁতুলিয়া মুক্ত ছিল। অস্থায়ী সরকারের অনেক গুরুত্বপূর্ণ সভা তেঁতুলিয়াতেই অনুষ্ঠিত হয়েছিল।  

এদিনে দেশের দামাল ছেলেরা পাক হানাদার বাহিনীকে পরাজিত করে উত্তর প্রান্তের সীমান্ত জেলা পঞ্চগড়ে উড়িয়ে দেন স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা। তাই দিনটিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য গত কয়েক বছর থেকে পঞ্চগড় জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে পঞ্চগড় মুক্ত দিবস হিসেবে পালন করে আসছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৭২৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৮
জিপি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।