ঢাকা, বুধবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২১ মে ২০২৫, ২৩ জিলকদ ১৪৪৬

জাতীয়

‘কৃষির মতো বিশাল সম্ভাবনার ক্ষেত্র সমুদ্র’

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৪৬, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
‘কৃষির মতো বিশাল সম্ভাবনার ক্ষেত্র সমুদ্র’ গোলটেবিল আলোচনা সভায় অতিথিরা। ছবি: বাংলানিউজ

ঢাকা: বাংলাদেশ কৃষিখাতে দারুণ সাফল্য দেখিয়েছে।  ছোট্ট এই ভূ-খণ্ডের বিশাল জনগোষ্ঠী, তারপরও আমরা খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ।  কৃষির পরে আমাদের পরবর্তী সাফল্যের গন্তব্য হতে পারে নীল সাগর। এই কৃষির মতোই নীল জলরাশি অর্থাৎ ব্লু ইকোনমিতেও অপার সম্ভাবনা রয়েছে। 

শনিবার (২৪ নভেম্বর)  নগরীর কেআইবি মিলনায়তনে ‘পটেনশিয়াল অব ব্লু ইকোনমি ট্রান্সফার্মিং ফিউচার বাংলাদেশ’ শীর্ষক গোল টেবিল আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রীর আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. গওহর রিজভী এসব কথা বলেন।  

রিজভী বলেন,  ব্লু ইকোনোমির বদৌলতে বাংলাদেশের বিশাল জনগোষ্ঠীর জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা সম্ভব হবে।

সম্প্রতি সমুদ্র বিজয়ে সেই দ্বার আরো প্রসারিত হয়েছে। ব্লু ইকোনোমির সুফল পেতে সমুদ্র ব্যবস্থাপনা আরো বাড়াতে হবে। সামনে ব্লু  ইকোনমির হাত ধরেই দেশের সুদিন ফিরবে।  

গোলটেবিল আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের সচিব সাজ্জাদুল হাসান। এ সময় আলোচনায় অংশ নেন সাবেক নৌ সচিব রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) খুরশীদ আলমসহ সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা।  
   
বক্তরা বলেন, সমুদ্রে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ধরা পড়ে জেলের জালে। কিন্তু কমদামি বলে জেলেরা তা ফেলে দেন। এসব আমরা সি ফিড মিল তৈরি করা যেতে পারে। যা মুরগি অথবা মাছের খাবার হিসেবে ব্যবহার করা যাবে।  

‘বাংলাদেশ ফি বছর দেড় থেকে দুই হাজার কোটি টাকার সি ফিড আমদানি করছে। এই আমদানি বন্ধে সি ফিড মিল কারখানা গড়ে তোলা জরুরি। ’  

সভায় জানানো হয়, বিশ্বের ১৫ শতাংশ প্রোটিনের যোগান দিচ্ছে সামুদ্রিক মাছ ও উদ্ভিদ। পৃথিবীর চাহিদার ৩০ শতাংশ গ্যাস ও জ্বালানি তেল আহরণ করা হচ্ছে সমুদ্রতলের বিভিন্ন গ্যাস ও তেলক্ষেত্র থেকে।  

বাংলাদেশ সময়: ১৫২৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৪, ২০১৮
এমআইএস/এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।