ঢাকা: বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় সবুজ ও নির্মল পরিবেশে বিনোদনপূর্ণ সময় কাটানোর সুযোগ নিয়ে এন ব্লকে চালু হলো ‘বসুন্ধরা কমিউনিটি পার্ক’।
বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) বিকেলে এন ব্লকের ফকিহুল মিল্লাত মুফতি আবদুর রহমান (রহ.) জামে মসজিদের (বড় মসজিদ) পাশে এ পার্কটি উদ্বোধন করা হয়।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিভিন্ন ব্লক থেকে অনেক বাসিন্দা হাজির হন। এমন দৃষ্টিনন্দন একটি পার্ক পেয়ে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন বাসিন্দারা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক ও বসুন্ধরা গ্রুপের উপদেষ্টা ইমদাদুল হক মিলন, বসুন্ধরা গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিক, উপদেষ্টা (প্রেস অ্যান্ড মিডিয়া) মোহাম্মদ আবু তৈয়ব, বসুন্ধরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোক্তার হোসেন চৌধুরীসহ গ্রুপের অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।
বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বাসিন্দাদের জন্য পার্কটি ভোর ৬টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত খোলা রাখার পরিকল্পনা রয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
সরেজমিন দেখা যায়, পার্কটির মাঝ দিয়ে এক প্রান্ত থেকে অন্য প্রান্তে চলে গেছে পাড় বাঁধানো দৃষ্টিনন্দন লেক। লেকের চার দিক ঘিরে রয়েছে ওয়াকওয়ে বা হাঁটার জায়গা। মাঝে মাঝে বসার ব্যবস্থা। রয়েছে শিশুদের সাইকেল চালানোর জায়গা ও বিভিন্ন খেলার উপকরণসম্বলিত প্লে জোন। ব্যায়ামের জন্য রয়েছে পৃথক জোন। এছাড়া পার্কে ঢুকতেই বাম দিকে রয়েছে চা-কফি ও নাস্তার ব্যবস্থা।
উদ্বোধনের দিনেই বাবা-মায়ের হাত ধরে পার্কে হাজির হয় বেশ কয়েকটি শিশু। পার্কে ঢুকেই খেলায় মেতে ওঠে তারা।
পার্কটি প্রসঙ্গে কথাসাহিত্যিক ইমদাদুল হক মিলন বলেন, এখানে হাঁটার ব্যবস্থা তো আছেই, চা-কফি খাওয়ার ব্যবস্থাও আছে। শিশুরা সাইকেল চালাতে পারবে, বেড়াতে পারবে, আনন্দ করতে পারবে। এমন একটা পার্ক বসুন্ধরায় খুব জরুরি ছিল। ঢাকা শহরের পার্ক, মাঠগুলো উধাও হয়ে যাচ্ছে। মানুষের হাঁটার জায়গা নেই। সেই বিবেচনায় একটু আরামে, শান্তিতে বসবাসের জন্য বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার চেয়ে ভালো জায়গা আর হতে পারে না।
আগামী দেড় বছরের মধ্যে সব আধুনিক সুবিধাসম্বলিত আরও চারটি পার্ক চালুর পরিকল্পনার কথা জানিয়ে বসুন্ধরা গ্রুপের উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিক বলেন, বসুন্ধরা আবাসিক এলাকাকে আমরা স্মার্ট সিটি হিসেবে ঘোষণা করেছি। বিনোদনের সবকিছু আমরা এখানে নিয়ে আসব। তার একটা অন্যতম উপকরণ পার্ক। অনেক প্রতিকূলতার মধ্যেও বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান মহোদয় এই পার্কটা করে দিয়েছেন। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বসুন্ধরার বাসিন্দাদের জন্য পার্কটি উন্মুক্ত থাকবে। এই পার্কটি প্রায় ছয় বিঘা জমির ওপরে তৈরি।
বিদ্যুৎ কুমার ভৌমিক বলেন, শীঘ্রই বসুন্ধরা স্পোর্টস সিটির পেছনে প্রায় ১০০ বিঘার ওপরে একটা কমিউনিটি পার্ক উদ্বোধন করা হবে। এছাড়া বসুন্ধরা এন্টারটেইনমেন্ট ওয়ার্ল্ড-১, বসুন্ধরা এন্টারটেইনমেন্ট ওয়ার্ল্ড-২, বসুন্ধরা অ্যাকোয়া ওয়ার্ল্ড নামে আরও তিনটি থিম পার্ক ২০২৬ সালের মধ্যে চালুর লক্ষ্য রয়েছে।
বসুন্ধরা ওয়েলফেয়ার সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) মোক্তার হোসেন চৌধুরী বলেন, এমনিতেই বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ব্র্যান্ড হচ্ছে নিরাপত্তা। অন্যান্য সুযোগ-সুবিধায়ও এই এলাকাটা অনন্য। এখানে পরিকল্পিত আবাসিক এলাকার সব সুযোগ-সুবিধা পাবেন এবং দিন দিন এটার উন্নতি হচ্ছে। এখানে একটা স্পোর্টস কমপ্লেক্স আছে যেটি বিশ্বমানের।
মোক্তার হোসেন চৌধুরী বলেন, আমরা বসুন্ধরা কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই এজন্য যে, তারা বাসিন্দাদের চাহিদাগুলো পূরণ করছেন। সুস্থ বিনোদন চর্চার জন্য এই পার্কটি অত্যন্ত কার্যকরী ভূমিকা পালন করবে।
ইএসএস/এইচএ/