ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও দৈনিক নয়া দিগন্তের সিনিয়র রিপোর্টার কাওসার আজমকে কৃষি মন্ত্রণালয়ের এক অতিরিক্ত সচিবের জেল খাটানোর হুমকি দেওয়ার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে ডিআরইউ। অবিলম্বে তাকে প্রত্যাহারপূর্বক প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে সংগঠনটি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) এক বিবৃতিতে ডিআরইউ সভাপতি আবু সালেহ আকন ও সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হাসান সোহেল কার্যনির্বাহী কমিটির পক্ষে এ নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান।
এই ঘটনায় কৃষি সাংবাদিকদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ অ্যাগ্রিকালচার রিপোর্টার্স ফোরাম’র (বিএআরএফ) পক্ষ থেকেও এক বিবৃতিতে প্রতিবাদ জানিয়েছেন সংগঠনের সভাপতি রফিকুল ইসলাম সবুজ ও সাংগঠনিক সম্পাদক নাজমুল হুসাইন। কাওসার আজম বিএআরএফের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে রয়েছেন।
কাওসার আজম জানান, গত ৮ সেপ্টেম্বর নন ইউরিয়া সার আমদানির তথ্য জানার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (সার ব্যবস্থাপনা ও উপকরণ) আহমেদ ফয়সল ইমামের কাছে গেলে তিনি গত আগস্ট মাসে দৈনিক নয়া দিগন্তে নন ইউরিয়া সার সঙ্কট ও মাঠের অব্যবস্থাপনা নিয়ে প্রকাশিত একটি প্রতিবেদনের জেরে তাকে জেল খাটানোর হুমকি দেন। এই কর্মকর্তা ২০০৯-২০১৩ সাল পর্যন্ত তখনকার আইন প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলামের একান্ত সচিব (পিএস) ছিলেন। এসময় আগের নিউজের সূত্র ধরে নিজেকে একজন জাঁদরেল ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে দাবি করে একপর্যায়ে তিনি বলেন, ‘অন্যায় একটা নিউজ করেছেন, না জেনে না বুঝে নিউজ করেছেন। ব্যস্ততার কারণে জবাব দেইনি। আপনার বিরুদ্ধে অ্যাকশনেও যাইনি। আপনার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলা করা যায়। ’
এর কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘কারণ আপনি মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন, সম্মানহানি করেছেন। মানহানি মামলা তিনটা হয়। ’ এক পর্যায়ে ওই অতিরিক্ত সচিব আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের আইন কী, আইনের কত ধারা-আমাদের চেয়ে আর ভালো কেউ জানে না। আমরা জানি, কোন আইন দিয়ে কারে কীভাবে ধরতে হবে। হাতে ছাই মাখিয়ে ধরব। কিন্তু ধরি নাই ইচ্ছা করেই। কতজন তো কত কথাই লিখছে। ’
ডিআরইউ নেতারা বলেন, নয়া দিগন্তে প্রকাশিত খবর মিথ্যা হলে প্রতিবাদ দিতে পারতেন। কিন্তু, একজন কর্তব্যরত সাংবাদিককে এভাবে প্রকাশ্যে জেল খাটানোর হুমকি খুবই দুঃখজনক। এটা স্বাধীন সাংবাদিকতার ওপর হুমকি। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তারা।
এমআইএইচ/