বাংলাদেশে পুল খেলায় আন্তর্জাতিক সাফল্য এলেও, স্নুকারে এখনো অনেক পিছিয়ে আছে। পুল খেলায় বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের হারানোর অভিজ্ঞতা থাকলেও, স্নুকারে উন্নতির জন্য ফেডারেশন কোচ ও আধুনিক সরঞ্জাম আনার ওপর জোর দিচ্ছে।
রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) গুলশান ক্লাবে 'ন্যাশনাল সিক্স রেড স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫' উপলক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ফেডারেশনের কর্মকর্তারা একথা জানান।
ফেডারেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট সোহেল বলেন, পুল এবং স্নুকার সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটি খেলা। পুলের চেয়ে স্নুকার খেলার মৌলিক নীতি ও কৌশল একদম আলাদা। তাই খেলোয়াড়দের সঠিক প্রশিক্ষণের জন্য একজন ভালো কোচের প্রয়োজন।
তিনি বলেন, যদি পর্যাপ্ত সংখ্যক স্নুকার টেবিলসহ একটি একাডেমি স্থাপন করা যায় এবং খেলোয়াড়রা ভালো প্রশিক্ষণ পায়, তাহলে স্নুকারেও একদিন সাফল্য আসবে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে বর্তমানে উচ্চমানের খেলার উপযোগী সরঞ্জাম বা 'প্রপার ইকুইপমেন্ট' নেই। ফেডারেশন এসব সরঞ্জাম বিদেশ থেকে আনার চেষ্টা করছে। যদি উন্নত মানের সরঞ্জাম ও দক্ষ কোচ আনা সম্ভব হয়, তাহলে এই খেলায় বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা ভালো করতে পারবে।
মিট দ্যা প্রেসে যুগ্ম-সচিব সুলতান মঈন আহমেদ রবিন বলেন, সারা বাংলাদেশে মাত্র ১০৩ থেকে ১০৪টি স্নুকার টেবিল রয়েছে, যেখানে পাকিস্তানের শুধু লাহোর শহরেই দশ হাজার এবং পাঞ্জাব প্রদেশে চল্লিশ হাজারেরও বেশি টেবিল আছে।
তিনি বলেন, সেখানে ঘরে ঘরে স্নুকার খেলোয়াড় তৈরি হয়, ফলে ভারত বহুবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
তবে তিনি বলেন, বর্তমানে বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা নিয়মিত আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে অংশ নিচ্ছে এবং এই খেলার পরিবেশের সঙ্গে নিজেদের মানিয়ে নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, যদি খেলাটির ওপর থেকে শুল্কের বোঝা কমানো যায় এবং খরচ কমানো সম্ভব হয়, তাহলে স্নুকারকে জনসাধারণের মধ্যে আরও জনপ্রিয় করে তোলা সম্ভব। পুলে যেমন বাংলাদেশের ভালো বিশ্ব র্যাঙ্কিং আছে, স্নুকারেও তেমন সাফল্য আনা সম্ভব।
১১৯ জন খেলোয়াড় নিয়ে শুরু হলো চ্যাম্পিয়নশিপ। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) থেকে শুরু হওয়া 'ন্যাশনাল সিক্স রেড স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপ ২০২৫'-এ মোট ১১৯ জন খেলোয়াড় অংশ নিচ্ছে। এই টুর্নামেন্ট ১১ দিন ধরে (২৫ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত চলবে। এই চ্যাম্পিয়নশিপের বিজয়ীকে পরবর্তী সময়ে অনুষ্ঠিতব্য 'ওয়ার্ল্ড সিক্স রেড স্নুকার চ্যাম্পিয়নশিপে' অংশগ্রহণের জন্য পাঠানো হবে বলে কর্মকর্তারা জানান।
ইএসএস/আরএ