ঢাকা, শুক্রবার, ২০ ভাদ্র ১৪৩২, ০৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ১২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

জাতীয়

ট্রাফিককে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ১, মূল অভিযুক্ত চিকিৎসক জামিনে

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০১:২৯, সেপ্টেম্বর ৫, ২০২৫
ট্রাফিককে মারধরের ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ১, মূল অভিযুক্ত চিকিৎসক জামিনে মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবু

রাজধানীর খিলগাঁও রেলগেট এলাকায় দায়িত্বরত এক ট্রাফিক পুলিশকে মারধরের ঘটনায় মো. মোস্তাফিজুর রহমান বাবু (৪৭) নামে আরও একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।  

এদিকে এ ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসক আনোয়ার হোসেন জামিনে মুক্ত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন খিলগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দাউদ হোসেন।  

তিনি জানান, খিলগাঁওয়ের মেরাদিয়া এলাকা থেকে বাবুকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি জানান, ঘটনার সময় মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. আনোয়ার হোসেনের দেওয়া খবরে কয়েকজন ব্যক্তি সেখানে উপস্থিত হয়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ কনস্টেবলের ওপর হামলা চালায়। এ ঘটনার মামলায় কয়েকজনকে অজ্ঞাত হিসেবে দেখানো হয়েছিল। সেই অজ্ঞাত কয়েকজনের মধ্যে একজন হচ্ছে বাবু। সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে বাবুকে আদালতে পাঠানো হবে।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে খিলগাঁও রেলগেট ক্রসিংয়ের দক্ষিণ পাশে দায়িত্ব পালন করছিলেন ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবল। উত্তর দিকের যান চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ রাখতে তিনি সিগন্যাল দিলে একটি প্রাইভেটকার থামে। তখন গাড়ির আরোহী ক্ষিপ্ত হয়ে পুলিশ সদস্যকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করেন এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেন।

পরে বিকেল ৩টার দিকে তিনি ছয়/সাতটি মোটরসাইকেলে প্রায় ১০-১২ জন লোক নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে সেই ট্রাফিক পুলিশ সদস্যের ওপর হামলা চালান। এ সময় পাশে থাকা একজন বিট পুলিশকেও মারধরের ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর বেতার বার্তার মাধ্যমে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বিষয়টি জেনে খিলগাঁও থানার পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায়। ওই সময় চিকিৎসক মো. আনোয়ার হোসেনকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়, তবে বাকিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে ডা. আনোয়ার হোসেনসহ তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ১০-১২ জনকে আসামি করে খিলগাঁও থানায় মামলা একটি মামলা করে। অভিযোগে পুলিশের ওপর হামলা, দায়িত্ব পালনে বাধা এবং প্রাণনাশের হুমকির বিষয়টি উল্লেখ করা হয়। বর্তমানে মামলার অন্যান্য আসামিদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।  

এদিকে পুলিশের একটি সূত্র থেকে জানা যায়, মূল অভিযুক্ত মুগদা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসক ডা. আনোয়ার হোসেন জামিনে মুক্ত হয়েছেন।

** দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশকে পিটিয়ে গ্রেপ্তার মুগদা হাসপাতালের চিকিৎসক

এজেডএস/আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।