পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে চিরচেনা রাজধানী অনেকটাই ফাঁকা হয়ে গিয়েছিল। এবারের কোরবানির ঈদের লম্বা ছুটি থাকার কারণে বেশিরভাগ মানুষই রাজধানী ছেড়ে যায়।
ঈদ শেষ হলেও রাজধানীর শপিংমল থেকে শুরু করে ফুটপাতগুলো এখনো বন্ধ রয়েছে। ঈদের লম্বা ছুটি শেষে সবেমাত্র কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। চিরচেনা যানজটের ব্যস্ততম ঢাকা এখনো মোটামুটি ফাঁকাই রয়েছে। আশা করা হচ্ছে আগামী রোববার থেকে ঢাকা আর ফাঁকা থাকবে না।
বৃহস্পতিবার (১২ জুন) সরেজমিনে দেখা যায়- রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ব্যস্ততম সড়কগুলো এখনো একেবারে ফাঁকা। রাজধানীর মতিঝিল যাত্রাবাড়ী, সায়দাবাদ, গুলিস্তান, শাহাবাগ বাংলা মোটর, কাওরান বাজার, ফার্মগেট, মোহাম্মদপুর, শ্যামলী, মিরপুর, নতুন বাজার, বাড্ডা এলাকায় তেমন কোনো যানবাহন দেখা যায়নি। অধিকাংশ রাস্তা ছিল জনশূন্য।
ঈদুল আজহার ছুটি শেষ হবে আগামী শনিবার (১৪ জুন)। রোববার থেকেই রাজধানীতে নগরবাসী প্রবেশ করবে। রাস্তার পাশের দোকানপাট মার্কেট গুলো বেশিরভাগই বন্ধ রয়েছে। রাজধানীর সদরঘাট লঞ্চ টার্মিনাল, সায়েদাবাদ বাস টার্মিনাল ও কমলাপুর রেলস্টেশনে প্রতিদিনই কর্মজীবী মানুষ ঢাকা আসতে শুরু করেছে।
গুলিস্তান এলাকার ফুটপাতের দোকানদার আবু বক্কর বাংলানিউজকে জানান, ঈদের আগেই বেচাকেনা যা করা করেছি এখন রাজধানীতে তেমন লোকজন নাই সবই ঢাকার বাইরে চলে গেছে। শহরে লোকজন নাই বেচাকেনা করবো কার কাছে সেজন্য দোকান বন্ধ রেখেছি। কোরবানি ঈদ উপলক্ষে মানুষ গ্রামের বাড়িতে গিয়েছে আগামী সপ্তাহে রাজধানীতে লোকজন আসলেই আমাদের বেচাকেনা শুরু হবে এখন যেহেতু লোকজন নাই সেজন্য দোকানপাট বন্ধ রেখেছি।
শিখর পরিবহনের বাসচালক সাইদুর জানান, এখন রাজধানীর সড়কগুলো একেবারেই ফাঁকা এক স্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে তেমন সময় লাগে না কিন্তু রাস্তায় যাত্রী সংখ্যা খুবই কম এজন্য বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে দাঁড়িয়ে থাকি দুই একজন করে আসে তাদের নিয়ে গন্তব্যে পৌঁছে দেই। এখন স্টাফ খরচ ও গাড়ির তেল খরচ দিয়ে তেমন পয়সা পাই না কোন রকমে দিন কাটাচ্ছি তবে আগামী সপ্তাহে লোকজনের চাপ বাড়লে হয়তো একটু ভালো করে চলতে পারব। রাজধানীর কয়েকজন পরিবহন চালকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, ফাঁকা সড়কে গাড়ি চালাতে পেরে তারা অনেকটাই স্বস্তিতে আছেন। তবে যাত্রী স্বল্পতার কারণে তাদের আয় কমে গেছে।
এদিকে রাজধানীর বিভিন্ন মোড়ে দায়িত্বরত ট্রাফিক পুলিশ সদস্যদেরও ফাঁকা সড়কের কারণে অনেকটাই অলস সময় পার করতে দেখা গেছে। তবে তাদের কাজের চাপ কমলেও সতর্কতা অবলম্বন করতে হচ্ছে। আগামী শনি/রোববার থেকেই পুরোপুরি যানবাহনের চাপ থাকবে বলে ধারণা করছেন ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা।
আরএ