ঢাকা, শনিবার, ২৩ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৭ জুন ২০২৫, ১০ জিলহজ ১৪৪৬

জাতীয়

ঈদে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‍্যাব সর্বোচ্চ সতর্ক

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:১৫, জুন ৬, ২০২৫
ঈদে উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‍্যাব সর্বোচ্চ সতর্ক

ঢাকা: পবিত্র ঈদুল আজহা নির্বিঘ্নে উদযাপন এবং সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‍্যাব সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে রয়েছে বলে জানিয়েছেন বাহিনীর আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক এম জেড এম ইন্তেখাব চৌধুরী।

শুক্রবার (৬ জুন) দুপুরে জাতীয় ঈদগাহের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।

ইন্তেখাব চৌধুরী বলেন, ঈদুল আজহাকে কেন্দ্র করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রতি বছরের মতো এবারও র‍্যাব বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশব্যাপী গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।

তিনি জানান, জাতীয় ঈদগাহ ময়দান, বায়তুল মোকাররম মসজিদ, শোলাকিয়া ঈদগাহ, দিনাজপুর বড় ঈদগাহসহ দেশব্যাপী তালিকাভুক্ত জামাতস্থলগুলোয় জোরদার নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিরাপত্তা সুইপিং, ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন, স্ট্রাইকিং ফোর্স, মোবাইল পেট্রোল, অবজারভেশন পোস্ট, চেকপোস্ট ও সিসিটিভি মনিটরিং চালু রয়েছে। পাশাপাশি, যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলায় বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট ও ডগ স্কোয়াড টিম সর্বক্ষণ প্রস্তুত রয়েছে।

ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে র‍্যাবের প্রস্তুতির বিষয়ে তিনি বলেন, বাস টার্মিনাল, রেলস্টেশন, লঞ্চ টার্মিনাল ও ফেরিঘাটে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়, টিকিট কালোবাজারি, অতিরিক্ত যাত্রী বহন, হয়রানি, মলম পার্টি, চাঁদাবাজি ও ছিনতাই প্রতিরোধে নজরদারি ও টহল জোরদার করা হয়েছে। পশুবাহী যানবাহনে চাঁদাবাজি রোধে হাইওয়েগুলোতে র‍্যাবের নিয়মিত টহল রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, গুরুত্বপূর্ণ শপিংমল, বিপণিবিতান ও বিনোদনকেন্দ্রগুলোতে স্ট্যাটিক টহল বাড়িয়ে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে, যাতে মানুষ নিরাপদে কেনাকাটা শেষ করে ঘরে ফিরতে পারে। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফাঁকা থাকার কারণে চুরি-ডাকাতি প্রতিরোধেও র‍্যাবের টহল বাড়ানো হয়েছে।

পশু ব্যবসায়ীসহ দেশের সব নাগরিককে যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে র‍্যাব কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন বাহিনীর এই কর্মকর্তা।

এ সময় সাংবাদিকরা মলম পার্টি ও অজ্ঞান পার্টির দৌরাত্ম বেড়েছে কিনা জানতে চাইলে র‍্যাব মুখপাত্র বলেন, আমার মনে হয় কমেছে। কারণ, যেখানেই আমরা এ ধরনের খবর বা গোয়েন্দা তথ্য পাচ্ছি, সেখানেই অভিযান চালাচ্ছি। যেমন রংপুরে ১৩ জনকে এবং সিলেটে একটি মলম পার্টিকে আটক করা হয়েছে। এসব পদক্ষেপের ফলে দেশজুড়ে একটি বার্তা যাচ্ছে—এ ধরনের অপরাধীদের কোনো ছাড় নেই।

তিনি যোগ করেন, এবার পত্র-পত্রিকা ও মিডিয়ায় মলম পার্টি নিয়ে খবর কম এসেছে। আমি মনে করি, র‍্যাবের অ্যাকশন ইতিবাচক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। যারা এই ধরনের অপরাধে জড়িত, তারা অন্যান্য বছরের মতো ততটা সক্রিয় হতে পারেনি।

এসসি/এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।