ঢাকা: রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের ‘টার্গেট’ করে হামলা চালিয়ে অস্থিরতা সৃষ্টির পরিকল্পনা ছিল গ্রেপ্তার সুব্রত বাইনের বাহিনীর। জিজ্ঞাসাবাদে এমনটি জানতে পেরেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
গত মঙ্গলবার (২৭ মে) কুষ্টিয়া শহর থেকে তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সুব্রত বাইনসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করে সেনাবাহিনী। বাকিরা হলেন মোল্লা মাসুদ, আরাফাত ও শরীফ।
পরদিন বুধবার হাতিরঝিল থানায় দায়ের করা অস্ত্র আইনের মামলায় গ্রেপ্তার সুব্রতকে আট দিন আর মোল্লা মাসুদসহ বাকি তিনজনকে ছয় দিন করে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন আদালত।
মামলাটি ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সুব্রত বাইনকে ডিবি কার্যালয়ে রাখা হয়েছে। ডিবির যুগ্ম কমিশনার মোহাম্মদ নাসিরুল ইসলাম জানান, তদন্তসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন।
সম্প্রতি ঢাকার হাতিরঝিল ও গুলশান এলাকার তিনটি খুনের ঘটনায় সুব্রত বাইনের নাম আসে। খুন ছাড়াও জমি, ফ্ল্যাট দখল ও চাঁদাবাজির একাধিক ঘটনায় সুব্রত বাইন ও তার অনুসারী-সহযোগীদের সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেছে।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, রাজধানীর হাতিরঝিলে গত ২১ এপ্রিল সুব্রত বাইনের অনুসারীদের গুলিতে ওয়ার্ড যুবদলের সদস্য আরিফ সরদার (৩৫) নিহত হন। রিমান্ডে এসব বিষয়ে সুব্রত বাইন ও তার সহযোগীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে তারা এ বিষয়ে এখনো মুখ খোলেননি।
এমএমআই/আরএইচ