ঢাকা: পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম আসন্ন ঈদুল আজহা উৎসবমুখর পরিবেশে নিরাপদে উদযাপনের লক্ষ্যে আন্তরিকভাবে কাজ করার জন্য মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৭ মে) আইজিপি সকালে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্স থেকে দেশের সব মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার, রেঞ্জ ডিআইজি ও জেলা পুলিশ সুপারদের সঙ্গে আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি পর্যালোচনা সংক্রান্ত ভার্চ্যুয়াল সভায় সভাপতিত্বকালে এ নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, ঈদুল আজহা উপলক্ষে মেট্রোপলিটন পুলিশ, জেলা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ, রেলওয়ে পুলিশ, ট্যুরিস্ট পুলিশ, নৌ পুলিশসহ পুলিশের বিশেষায়িত ইউনিটসমূহ সম্মিলিতভাবে দায়িত্ব পালন করবে।
সভায় কোরবানির পশু পরিবহন নির্বিঘ্ন করা, এক হাটের পশু জোর করে অন্য হাটে না নেওয়া, হাইওয়ের পাশে পশুর হাট না বসানো, জাল টাকা, ছিনতাই ও চাঁদাবাজি প্রতিরোধ, মার্কেট ও শপিংমলের নিরাপত্তা দিতে সতর্কতার সঙ্গে দায়িত্ব পালনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়।
পুলিশ সদস্যদের অস্ত্র ব্যবহার প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, পুলিশের সদস্যদের অস্ত্র ব্যবহারের প্রাধিকার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় কর্তৃক নির্ধারিত করা আছে।
তিনি বলেন, মাঠ পর্যায়ে যেকোনো পুলিশি কার্যক্রম যেন ঝুঁকিমুক্ত থাকে সে বিষয়টি বিবেচনায় রেখে অস্ত্রের প্রাধিকার নির্ধারণ করা হয়। পুলিশের টহল কার্যক্রম বা সশস্ত্র অপরাধী, চরমপন্থি ও বিদ্রোহ (ইনসারজেন্সি) প্রবণ এলাকায় পুলিশি কার্যক্রমের সময় অবশ্যই প্রয়োজন অনুযায়ী পুলিশ অস্ত্র বহন করবে।
আইজিপি বলেন, ৫ আগস্টের পর নতুন বাংলাদেশে পুলিশের অস্ত্র ব্যবহার পর্যালোচনার বিষয়টি শুধুমাত্র জনশৃঙ্খলা রক্ষায় অর্থাৎ মিছিল-সমাবেশ নিয়ন্ত্রণের বেলায়ই উঠে এসেছে। মিছিল সমাবেশ নিয়ন্ত্রণে Lethal Arms অর্থাৎ জীবনবিধ্বংসী মারণাস্ত্র ব্যবহারের প্রয়োজনীয়তা স্বভাবতই প্রশ্নবিদ্ধ। এ বিষয়টিই বর্তমানে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে।
এছাড়া সভায় যেসব লাইসেন্সধারী সরকারি ঘোষণা অনুযায়ী অস্ত্র জমা দেননি তাদের বিরুদ্ধে মামলা রুজুর জন্য মাঠ পর্যায়ে কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন আইজিপি।
এজেডএস/আরআইএস