উজানে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধির পূর্বাভাস দিয়েছে বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, পানির সমতল কয়েকটি পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করে তিস্তা অববাহিকার পাঁচ জেলার তিস্তা নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হতে পারে।
বুধবার (২৮ মে) পাউবো কুড়িগ্রাম থেকে পাঠানো এক বার্তায় এই পূর্বাভাসের তথ্য জানানো হয়েছে।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, তিস্তা অববাহিকায় ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। ফলে রংপুর বিভাগের নদীসমূহের পানি সমতল আগামী তিন দিন বৃদ্ধি পেতে পারে। এ সময় তিস্তা নদীর পানি কতিপয় পয়েন্টে বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। ফলে রংপুর, নীলফামারী, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা ও কুড়িগ্রাম জেলায় তিস্তা নদী সংলগ্ন নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে।
বুধবার দেওয়া প্রতিবেদনে পাউবো কুড়িগ্রাম জানায়, এদিন দুপুর ৩টা পর্যন্ত তিস্তার পানি রংপুরের কাউনিয়া পয়েন্টে হ্রাসমান ছিল এবং বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল।
পূর্বাভাসে আরও বলো হয়েছে, ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কমতে থাকলেও একদিন পর বাড়তে পারে। পরবর্তী চার দিন নদের পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকতে পারে। তবে এই নদের প্রবাহ বিপৎসীমা অতিক্রম করার আশঙ্কা কম বলে জানানো হয়েছে।
পাউবো কুড়িগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী রাকিবুল হাসান বলেন, ‘বন্যার পূর্বাভাস পাওয়া গেছে। তিস্তা তীরে ভাঙন ঝুঁকি রোধে আমাদের কাজ চলমান রয়েছে। রাজারহাটের তিস্তা তীরবর্তী ডাঙরারহাট এলাকায় প্রায় ৮০০ মিটার স্থান ঝুঁকিপূর্ণ রয়েছে। সেখান জরুরি ভিত্তিতে কাজ করতে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। ’
সম্ভাব্য বন্যা মোকাবিলায় প্রস্তুতির বিষয়ে জানতে কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মোছা. নুসরাত সুলতানার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তাকে পাওয়া যায়নি। হোয়াটসঅ্যাপে বার্তা পাঠালেও সাড়া মেলেনি।
এমজেএফ