ঢাকা: অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগের সচিব এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যানের মো. আবদুর রহমান খানকে অপসারণের দাবিতে অসহযোগ কর্মসূচি চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদ।
এ ছাড়া আগামী বৃহস্পতিবারের (২৯ মে) মধ্যে মো. আবদুর রহমান খানকে অপসারণ করার দাবি জানিয়েছে পরিষদ।
নেতারা জানান, এনবিআরকে ভেঙে দুটি বিভাগ করার জন্য জারি করা অধ্যাদেশ প্রত্যাহারসহ চার দফা দাবিতে আন্দোলন চলছিল। রোববার (২৫ মে) সরকারের সঙ্গে ঐক্যমতের ভিত্তিতে আন্দোলন প্রত্যাহার করা হয়েছে এবং সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী যথারীতি কাজে যোগ দিয়েছেন। তবে, অন্যতম দাবি হিসেবে এনবিআর চেয়ারম্যানকে অপসারণ করা না হওয়ায়, তার বিরুদ্ধে অসহযোগ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
নেতারা বলেন, আগামী ২৯ মের মধ্যে চেয়ারম্যানকে অপসারণ করতে হবে। তার বিরুদ্ধে আস্থা ও বিশ্বাসের চরম সংকট তৈরি হয়েছে। এ কারণে পূর্বঘোষিত চেয়ারম্যানের সঙ্গে লাগাতার অসহযোগ কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।
তাদের দাবির মধ্যে রয়েছে—রাষ্ট্র ও জনগণের বৃহত্তর স্বার্থে কর-রাজস্ব নীতি প্রণয়ন, আহরণ ও ব্যবস্থাপনায় জ্ঞান, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতাসম্পন্ন কর্মকর্তাকে পূর্ণকালীন চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দিতে হবে।
এছাড়াও, সরকার শিগগিরই রাজস্ব সংস্কার সংক্রান্ত পরামর্শক কমিটির প্রতিবেদন জনসাধারণের জন্য ওয়েবসাইটে প্রকাশ করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন নেতারা। তারা আশা প্রকাশ করেন, আগামী ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে জারি করা অধ্যাদেশে প্রয়োজনীয় সংশোধনের লক্ষ্যে সরকার শিগগিরই আলোচনা শুরুসহ কার্যক্রম গ্রহণ করবে।
চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে নেতৃবৃন্দ বলেন, জারি করা অধ্যাদেশের খসড়া প্রণয়নের শুরু থেকেই তিনি লুকোচুরি ও অসহযোগিতা করে আসছেন। সরকারের কাছে কর্মকর্তাদের আশা-আকাঙ্ক্ষা তুলে ধরতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছেন। বিগত সরকারের আমলে ব্যাংকিং খাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি এবং নির্দিষ্ট গোষ্ঠীকে কর ফাঁকিতে সহযোগিতা করতে এনবিআরের গুরুত্বপূর্ণ অডিট কার্যক্রম বন্ধ করেছিলেন। এছাড়া, অর্থবছরের মাঝামাঝি ভ্যাট হারের অযৌক্তিক ও অপরিকল্পিত বৃদ্ধির মাধ্যমে অর্থনীতিতে অস্থিতিশীলতা তৈরি করেন।
তাদের অভিযোগ, চেয়ারম্যান পরিকল্পিতভাবে এনবিআর সংস্কার ঐক্য পরিষদের গঠনমূলক আলোচনা ব্যাহত করেছেন এবং সরকারের সাথে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের দূরত্ব সৃষ্টি করতে বিভ্রান্তি ছড়িয়েছেন। নেতারা উল্লেখ করেন, যদি তার অবস্থান নেতিবাচক ও ষড়যন্ত্রমূলক না হতো, তবে সমস্যার সমাধান অনেক আগেই হয়ে যেত।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন যুগ্ম কর কমিশনার মোনালিসা শাহরীন সুস্মিতা, উপ-কমিশনার (দ্বিতীয় সচিব) শাহদাৎ জামিল শাওন এবং মিজ রইসুন নেসা।
জেডএ/এমজে