ঢাকা, শনিবার, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ০৪ মে ২০২৪, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

জাতীয়

সড়ক আটকে থাকে থ্রি হুইলারে

ইমতিয়াজ আহমেদ, ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
সড়ক আটকে থাকে থ্রি হুইলারে

মাদারীপুর: জেলার শিবচরের পাঁচ্চর-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ের সংযোগ সড়কের উপর গড়ে উঠেছে থ্রি হুইলার স্ট্যান্ড। পাঁচ্চর থেকে ভাঙ্গাগামী এক্সপ্রেসওয়ের যাত্রী ছাউনির পাশে এক লেনের সংযোগ সড়কের ওপর ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত ভ্যান, মাহিন্দ্রা, সিএনজি সড়কে থামিয়ে করা হয় যাত্রী ওঠা-নামা।

এ দৃশ্য বহুদিনের, যা দেখার কেউ নেই। বাস বা ভারী বাহনের যাত্রীরা এ অবস্থা নিয়ে বিরক্ত। অথচ তা নিরসনের কোনো চেষ্টাই করে না কেউ।

সরেজমিনে পাঁচ্চর থেকে ভাঙ্গাগামী এক্সপ্রেসওয়ের যাত্রী ছাউনির পাশে এক লেনের সংযোগ সড়কে বিভিন্ন যানবাহনের ভারী জটলা দেখা গেছে। অন্যান্য যানবাহন বেশ ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে।

ঢাকা থেকে দক্ষিণাঞ্চলগামী যেকোনো পরিবহনের যাত্রীদের শিবচরের পাঁচ্চরে নামাতে যাত্রীছাউনিতে থামতে হয়। যাত্রীদের ভিড় থাকায় ছাউনির পাশের এক লেনের সংযোগ সড়কের দুইপাশেই সারি করে রাখা হয় ইজিবাইক, মাহিন্দ্রা। যাত্রীদের ইজিবাইকে চড়তে হয় সিরিয়াল মেনে। মাহিন্দ্রা বা অন্যান্য বাহনেও তাই। এটি যেন অলিখিত একটি নিয়ম, যা মানতে বাধ্য সবাই!

তা ছাড়া সড়কের ওপর যত্রতত্র গাড়ি থামিয়ে যাত্রীদের ওঠানো-নামানো করা হচ্ছে নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করেই। যেকোনো সময় এলাকাটিতে ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা। সড়কের ওপর সারাদিন বিভিন্ন পরিবাহনের জটলা থাকায় নির্দিষ্ট স্থানে যেতে হয় যাত্রীদের।

স্থানীয়রা জানান, এসব দৃশ্য প্রতিদিনকার। বাস থেকে যাত্রী নামলেই হাঁকডাক শুরু হয় ইজিবাইক চালকদের। ব্যাটারি চালিত ইজিবাইকের পাশাপাশি থ্রি হুইলার মাহিন্দ্রা, সিএনজি এবং ভ্যান গাড়িও রয়েছে। এখান থেকে শিবচর, সূর্য্যনগর, মাদবরেরচরসহ স্বল্প দূরত্বের যাত্রীরা এসব বাহনে চলাচল করেন। সংযোগ সড়ক দিয়ে চলাচলরত অন্যান্য যানবাহনের চলাচল এখানে ব্যাহত হয়। নানা সময় ছোটখাটো দুর্ঘটনাও ঘটে। অতি দ্রুত সড়ক থেকে ইজিবাইক সরিয়ে দিতে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তারা।

আবুল হোসেন নামের এক ইজিবাইক চালক বলেন, যেখানে বাস থামে, যাত্রী নামে সেখানে হালকা যান রাখার সুবিধা অনেক। কারণ, যাত্রীরা বাস থেকে নেমেই ছোট কোনো পরিবহনে নির্দিষ্ট গন্তব্যে যেতে চান। আশপাশে কোনো স্ট্যান্ড না থাকায় রাস্তার ওপরই আমরা ইজিবাইক রাখি। আমরা এখানে এলেই ঢাকা থেকে আসা যাত্রী পাই।

কোনো সরকারি কর্তাব্যক্তি বা স্থানীয় সরকারের কেউ বিষয়টি নিয়ে নিষেধ করেনি জানতে চাইলে তিনি বলেন, না কেউ কিছু বলে না। এ সময় যত্রতত্র তাদের বাহন রাখায় অন্যান্য পরিবহনের অসুবিধা হয় বলে স্বীকার করে নেন তিনি। আরও বলেন, সংযোগ সড়ক দিয়ে স্থানীয় বিভিন্ন রুটের ছোট গাড়ি চলাচল করে। এখানে ইজিবাইক না থাকলে যাত্রীদের অনেকক্ষণ হেঁটে পাঁচ্চর গিয়ে গাড়িতে উঠতে হয়। তাই তাদের সুবিধার কথা চিন্তা করে আমরা এখানে আমাদের গাড়ি রাখি।

অভিযোগ আছে, এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকাগামী লেনের কাছে আলাদাভাবে ইজিবাইক স্ট্যান্ড রয়েছে। কিন্তু ব্যবহার নেই। চালকরা ইচ্ছা করেই স্ট্যান্ডটি ব্যবহার করে না। যেখানে যেভাবে যাত্রী পায়, সেভাবেই তারা নিয়ে নেয়। হাইওয়ে পুলিশ মাঝেমধ্যে ইজিবাইক সরিয়ে দেয়। কিন্তু তারা চলে যাওয়ার পর দৃশ্যপটও পাল্টে যায়।

এসব বিষয় নিয়ে পাঁচ্চর হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আব্দুল্লাহ হেল বাকী বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত তদারকি করে থাকি। ইজিবাইক, অটোভ্যান, সিএনজি, মাহিন্দ্রাগুলো যাতে সড়কে অন্যান্য যানবাহন চলাচলে ক্ষতি করতে না পারে, সেদিকটা লক্ষ্য রেখে আমরা অভিযান পরিচালনা করি। পাঁচ্চরে অভিযানের সময় প্রতি টিমে একজন করে কর্মকর্তা ও দুজন সদস্য দায়িত্ব পালন করেন। যেসব অভিযোগ পাওয়া গেছে, আমরা শিগগির সেসব নিয়ে ব্যবস্থা নেব।

বাংলাদেশ সময়: ১৬১৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০২২
এমজে

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।