ওজন কমাতে দারুচিনির জুড়ি মেলা ভার। তাই চটজলদি ওজন কমাতে দিনে অন্তত দু-বার করে খান দারুচিনির পানি।
পুষ্টিবিদদের মতে, ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে দারুচিনির পানি দারুণ কাজ দেয়।
দারুচিনি কীভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে?
আপনার বিপাক হার যদি ভালো হয়, তাহলে ওজন নিয়ন্ত্রণেই থাকে। মেদ জমলেও তা ঝরানো সহজ হয়। এই বিপাক হার বাড়ানোর কাজটাই করে দারুচিনির পানি। দারুচিনির পানি হজমের সমস্যা দূর করে, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং শরীরে জমে থাকা টক্সিন বের করে দেয়। দারুচিনির মধ্যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ক্রনিক অসুখের ঝুঁকিও প্রতিরোধ করে। ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, পিসিওডি-এর মতো শারীরিক সমস্যায় ওজন বাড়ে। এই সব ক্ষেত্রেও দারুচিনি ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়ক।
দিনের কোন সময়ে দারুচিনির পানি খেলে দ্রুত ওজন কমবে?
১. সকালে খালি পেটে দারুচিনির পানি খেলে সারাদিন আর কোনো চিন্তা থাকবে না। এতে সকালেই পেট সাফ হয়ে যাবে এবং শরীর টক্সিনমুক্ত থাকবে। পাশাপাশি বিপাক হার ভালো থাকবে। সকালবেলা ডিটক্স ওয়াটার হিসেবে খেতে পারেন দারুচিনির পানি।
২. ডায়াবেটিসের রোগী হয়ে ওজন বশে রাখতে হলে লাঞ্চ বা ডিনারের ৩০ মিনিট আগে দারুচিনির পানি খান। এতে পেট ভরবে এবং রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকবে। পাশাপাশি অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ইচ্ছেও কমবে। এ ভাবেও ওজন কমাতে পারেন।
৩. চটজলদি ওজন কমাতে জিমে গিয়ে কসরত করছেন। শরীরচর্চা শেষ করেও দারুচিনির পানি খেতে পারেন। এতে পেশির ক্ষয় দ্রুত নিরাময় হবে এবং ক্লান্তি দূর হবে।
৪. ঘুমোতে যাওয়ার আগেও দারুচিনির পানি খেতে পারেন। এতেও পেটের সমস্যা এড়াতে পারবেন এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন।
কীভাবে দারুচিনির পানি বানাবেন?
২ কাপ পানি গরম বসান। এতে এক চা চামচ দারুচিনির গুঁড়া মিশিয়ে ফুটিয়ে নিন। দারুচিনির গুঁড়া না থাকলেও দুটি দারুচিনির কাঠিও ফুটিয়ে নিতে পারেন। ১৫ মিনিট ফুটিয়ে নিয়ে চায়ের মতো পান করুন দারুচিনির পানি। আবার আগের দিন রাতেও এই পানীয় বানিয়ে ফ্রিজে রাখতে পারেন। পরদিন সকালে খালি পেটে খেতে পারেন।