ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৮ আষাঢ় ১৪৩২, ০৩ জুলাই ২০২৫, ০৭ মহররম ১৪৪৭

আইন ও আদালত

জেলে যাচ্ছেন বাবা, হাত ধরে অবুঝ শিশুর আর্তনাদ

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০:৫০, জুন ২৮, ২০২২
জেলে যাচ্ছেন বাবা, হাত ধরে অবুঝ শিশুর আর্তনাদ

লক্ষ্মীপুর: আদালতে দোষী সাবস্ত হয়েছেন বাবা, কিন্তু ছেলের কাছে তো বাবা নিরপরাধ। তাই তো বাবার হাত ধরে কাঁদছে অবুঝ শিশুটি।

 

মঙ্গলবার (২৬ জুন) দুপুরে লক্ষ্মীপুর আদালত চত্বরে দেখা মেলে এমন দৃশ্যের। আদালতের রায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাবা হারুনুর রশিদকে পুলিশ হাতকড়া পরিয়ে নিয়ে যাচ্ছে কাস্টডিতে, আর বাবার হাত ধরে পেছনে পেছনে দৌড়াচ্ছে সাত বছরের শিশু ইমন।  

এ সময় শিশুটিকে বলতে শোনা যায়, আমার বাবাকে নিয়েন না।  

ইমনের মা নাসিমা বলেন, ইমন তাদের সঙ্গে সকালে লক্ষ্মীপুর আদালতে আসে। দুপুরে আদালতে তার স্বামীর বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলার রায় হয়। ওই মামলায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। রায় ঘোষণার সময় ইমনসহ পরিবারের অন্য সদস্যরা আদালতের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন। আর তার স্বামী হারুনুর রশিদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন। এর আগে তিনি জামিনে ছিলেন।  

তিনি বলেন, পুলিশ তার স্বামীকে হাতকড়া পরিয়ে নেওয়ার সময় ইমন কান্নায় ভেঙে পড়ে। বাবার হাত ধরে সে কাঁদতে কাঁদতে দৌড়াতে থাকে।  

রায়ের প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্বামী নির্দোষ।  

নাসিমার ভাই জাফর আহম্মদ বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে আমরা উচ্চ আদালতে আপিল করব।  

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলার চরবংশী এলাকায় ২০১৬ সালের ৫ জানুয়ারি রাতে আব্দুল জলিল সর্দার নামে এক ব্যক্তিকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। ওই মামলায় হারুনুর রশিদকে প্রধান করে পাঁচজনের নামে অভিযোগপত্র দেয় সিআইডি। দীর্ঘ শুনানি শেষে সাক্ষ্য প্রমাণের ভিত্তিতে জেলা ও দায়রা জজ আদালত মঙ্গলবার হারুনুর রশিদকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ডের রায় দেন। অভিযোগ প্রমাণ না হওয়ায় বাকি চার আসামিকে খালাস দেন আদালত।  

বাংলাদেশ সময়: ২০২৩ ঘণ্টা, জুন ২৮, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।