ঢাকা, সোমবার, ৩০ ভাদ্র ১৪৩২, ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২ রবিউল আউয়াল ১৪৪৭

আইন ও আদালত

সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবেদন পেছালো ১২১ বার, আদালতের অসন্তোষ

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭:৩২, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২৫
সাগর-রুনি হত্যার প্রতিবেদন পেছালো ১২১ বার, আদালতের অসন্তোষ ফাইল ফটো

ঢাকা: সাংবাদিক দম্পতি সাগর সারওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার তারিখ ফের পি‌ছিয়েছে। রোববার (১৪ সেপ্টেম্বর) ঢাকার মেট্রোপ‌লিটন ম্যাজিস্ট্রেট মিনহাজুর রহমান এ মামলার প্রতিবেদন দাখিলের দিন ধার্য ছিল।

এদিন দুপুরে তদন্তকারী কর্মকর্তা পিবিআই-এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. আজিজুল আদালতে উপস্থিত হন।

এ সময় বিচারক মামলার তদন্ত কর্মকর্তার কাছে তদন্তে অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চান। তখন তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন টাস্কফোর্সের মাধ্যমে তদন্ত শুরু হয়। এরপর আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয় তদন্তের। আমি এই মামলার সংশ্লিষ্ট সাংবাদিক, প্রতিবেশী, আত্মীয়-স্বজন ও ডিএনএ বিশেষজ্ঞদের জিজ্ঞাসাবাদে অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেয়েছি। দুইজনের মিক্সড ডিএনএর তথ্য পাওয়া গেছে। কিন্তু সনাক্ত করা যাচ্ছে না।

এসব কারণে মামলাটির তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে দেরি হচ্ছে। কিছুদিন আগে এ মামলার তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্ধারিত সময় পার হলেও, উচ্চ আদালতে থেকে আরও সময় নেওয়া হয়।

এ সময় বিচারক বলেন, যা বুঝলাম। আগের এ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যিনি ছিলেন তিনিও একই কথা বলেছেন। আপনার তদন্তের অগ্রগতিতে আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করছে। আপনি আপ্রাণ চেষ্টা করবেন।

এরপর শুনানির জন্য আগামী ৩০ নভেম্বর দিন ধার্য করেন আদালত। এ নিয়ে মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ ১২১ বার পেছালো।  

এর আগে গত ১১ আগস্ট তদন্ত কর্মকর্তাকে হাজির হয়ে অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দিয়েছিলেন একই আদালত।

সাগর-রুনি হত্যা মামলাটি দীর্ঘদিন ধরে র‌্যাবের কাছে তদন্তের দায়িত্ব ছিল। বাদীপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত বছর ৩০ সেপ্টেম্বর তদন্তের জন্য একটি টাস্কফোর্স গঠনের আদেশ দেন হাইকোর্ট। বর্তমানে পিবিআই মামলার তদন্ত কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

এ মামলায় রুনির বন্ধু তানভীর রহমানসহ মোট ৮ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তার অপর আসামিরা হলেন—বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী এনাম আহমেদ ওরফে হুমায়ুন কবির, রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মিন্টু ওরফে বারগিরা মিন্টু ওরফে মাসুম মিন্টু, কামরুল হাসান অরুন, পলাশ রুদ্র পাল ও আবু সাঈদ। তাদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ রুদ্র জামিনে আছেন। বাকিরা এখনো কারাগারে।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারে সাংবাদিক দম্পতি মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক সাগর সরওয়ার এবং এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক মেহেরুন রুনি তাদের ভাড়া বাসায় নির্মমভাবে খুন হন। পরদিন ভোরে তাদের ক্ষত-বিক্ষত লাশ উদ্ধার করা হয়।

ওই বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রুনির ভাই নওশের আলী রোমান বাদী হয়ে শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেন।

প্রথমে মামলাটির তদন্ত করেন শেরেবাংলা নগর থানার একজন কর্মকর্তা। এরপর ১৬ ফেব্রুয়ারি মামলার তদন্তের ভার পড়ে গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উত্তরের পুলিশ পরিদর্শক মো. রবিউল আলমের ওপর।

এর দুই মাস পর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব)।  

কেআই/জেএইচ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

আইন ও আদালত এর সর্বশেষ