মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চুক্তিতে সম্মত হলেও ইসরায়েল ফিলিস্তিনের গাজায় তাদের আগ্রাসন থামায়নি। উপত্যকাটিতে এখনও দখলদারদের ধ্বংসযজ্ঞ অব্যাহত রয়েছে।
আল জাজিরা বুধবারের প্রতিবেদনে জানিয়েছে, গাজার জায়তুন এলাকার আল-ফালাহ স্কুলে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। স্কুলটি আগে থেকেই শত শত বাস্তুচ্যুত মানুষের আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছিল। এ সময় সেখানে উদ্ধার কাজে ছুটে যাওয়া ফিলিস্তিনি সিভিল ডিফেন্স কর্মীদের ওপর আবারও আক্রমণ চালানো হয়, যাতে অনেকে গুরুতর আহত হন।
আল-আহলি আরব হাসপাতালের মেডিকেল সূত্র জানায়, এ ঘটনায় অন্তত ছয়জন নিহত হয়েছেন। এছাড়া দারাজ এলাকায় একটি বাড়িতে ইসরায়েলি আক্রমণে সাতজন নিহত হয়েছেন।
শুধু গাজা সিটিতেই বুধবার নিহত হয়েছেন ৩৪ জন। অব্যাহত বোমাবর্ষণে গাজার সবচেয়ে বড় নগরী কার্যত ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই এখানে ডজনখানেক মানুষ নিহত হচ্ছেন, বহু আবাসিক ভবন ও স্কুল ভেঙে পড়ছে। হাজার হাজার মানুষ দক্ষিণের দিকে পালাতে বাধ্য হচ্ছেন, তবে সেখানেও তারা হামলার শিকার হচ্ছেন।
গাজার পশ্চিমে আল-শিফা হাসপাতাল চত্বরে নাম-পরিচয়হীন ১১টি মরদেহ একসঙ্গে কবর দেওয়া হয়েছে। এ হাসপাতালটি পুরো উপত্যকার সবচেয়ে বড় চিকিৎসা কেন্দ্র হলেও কয়েকদিন ধরে এটি ইসরায়েলি হামলার মুখে রয়েছে। কিডনি ডায়ালাইসিস রোগীরা জীবনের ঝুঁকিতে আছেন, কারণ চারপাশে অবিরাম গোলাগুলি ও বোমাবর্ষণ চলছে।
ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, নুসেইরাত ও বুরেইজ শরণার্থী শিবিরে দুটি বাড়িতে ইসরাইলি বিমান হামলায় আরও তিনজন নিহত হয়েছেন।
এমজে