মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও জেরুজালেমে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে বৈঠক করছেন। কাতারে ইসরায়েলের হামলার পরিণতি এই বৈঠকের আলোচ্যসূচি হিসেবে ধরা হচ্ছে।
গত সপ্তাহে ইসরায়েল কাতারের দোহায় হামাস নেতাদের লক্ষ্য করে হামলা চালায়। কাতার মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র। তবে ইসরায়েলকেও নানাভাবে সমর্থন দিয়ে থাকে যুক্তরাষ্ট্র। কাতারে হামলায় প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ইসরায়েলের সমালোচনা করেছেন।
কাতারে হামলা নিয়ে রুবিও এর আগে বলেছিলেন, অবশ্যই আমরা এ নিয়ে খুশি নই। প্রেসিডেন্টও খুশি ছিলেন না। এখন আমাদের সামনে এগিয়ে যেতে হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা খুঁজে বের করতে হবে।
এখন আরব নেতারা কাতারের প্রতি সমর্থন জানাতে একটি সম্মেলন করছেন। কাতারের প্রধানমন্ত্রী আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আহ্বান জানিয়েছেন, তারা যেন ইসরায়েলের শাস্তির ব্যবস্থা করে।
উপসাগরীয় দেশ কাতার মার্কিন বিমানঘাঁটি রয়েছে। দেশটি গাজা যুদ্ধের অবসানে কূটনৈতিক প্রচেষ্টায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেল। তারা হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পরোক্ষ আলোচনার মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কাজ করে।
রোববার নেতানিয়াহু মার্কো রুবিওকে নিয়ে জেরুজালেমের পুরোনো শহরে অবস্থিত ওয়েস্টার্ন ওয়াল পরিদর্শনে যান। তিনি সেখানে সাংবাদিকদের বলেন, যুক্তরাষ্ট্র–ইসরায়েল সম্পর্ক ওয়েস্টার্ন ওয়ালের মতোই টেকসই।
এই সফরে মার্কিন রাষ্ট্রদূত মাইক হাকাবি তাদের সঙ্গে ছিলেন। রুবিও একটি নোট লিখে দেয়ালে রাখেন। উভয়েই কাতারে ইসরায়েলের হামলা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্ন উপেক্ষা করেন।
দুজনের মধ্যে আলোচনায় আরও যে বিষয়টি আসবে বলে আশা করা হচ্ছে, তা হলো গাজা সিটি দখলের জন্য ইসরায়েলের সামরিক পরিকল্পনা এবং অধিকৃত পশ্চিম তীরে বসতি সম্প্রসারণ।
ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটিতে আবাসিক ভবন ধ্বংস করা অব্যাহত রেখেছে। ইসরায়েলি গণমাধ্যমের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, দেশটির সেনাবাহিনী শহরের পশ্চিমাঞ্চলীয় অঞ্চলে স্থল অভিযান শুরু করার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
ইসরায়েলি সেনারা গাজা সিটির বাসিন্দাদের দক্ষিণ দিকে চলে যেতে বলেছে। কিছু বাসিন্দা বলেছেন তারা দক্ষিণে যাওয়ার সামর্থ্য রাখেন না। আবার অন্যরা বলেছেন দক্ষিণ গাজা নিরাপদ নয়। কারণ সেখানেও ইসরায়েল বিমান হামলা চালিয়েছে। কেউ কেউ বলেছেন, তারা দক্ষিণে যেতে চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু তাঁবু খাটাতে না পেরে আবার গাজা সিটিতে ফিরে এসেছেন।
আরএইচ