ঢাকা, শুক্রবার, ৩০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ১৩ জুন ২০২৫, ১৬ জিলহজ ১৪৪৬

আন্তর্জাতিক

ইসরায়েলের সঙ্গে ১০০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি কাতারের

আন্তজার্তিক ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪:০৬, জুন ১২, ২০২৫
ইসরায়েলের সঙ্গে ১০০ মিলিয়ন ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি কাতারের ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু ও কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল-থানি

ইসরায়েলের শীর্ষ তিন প্রতিরক্ষা কোম্পানি— এলবিট সিস্টেমস, রাফায়েল অ্যাডভান্সড ডিফেন্স সিস্টেমস ও ইসরায়েল অ্যারোস্পেস ইন্ডাস্ট্রিজ (আইএআই)— সম্প্রতি কাতারের সঙ্গে ১০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি করেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এলবিট কাতারের সঙ্গে ১০০ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের চুক্তি করেছে।

রাফায়েলের চুক্তির পরিমাণ ‘দশ মিলিয়ন ডলারের ঘরে’ এবং আইএআই-এর নির্বাহীরা দোহায় ২০ বারেরও বেশি সফর করেছেন। এমনকি তারা ইসরায়েলে নিজেদের সদর দপ্তরে কাতারের একটি উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দিনব্যাপী বৈঠকও করেছেন।

এই চুক্তিগুলো স্বাক্ষরের আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এবং সেনাবাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনুমোদন ছাড়াও, চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু।

তবে এই ব্যতিক্রমী সহযোগিতা ঘিরে নতুন করে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। কারণ, কাতার দীর্ঘদিন ধরে হামাসকে অর্থায়ন করে আসছে। সেই প্রেক্ষাপটে, ইসরায়েলের সঙ্গে এমন রাষ্ট্রের বহুমুখী প্রতিরক্ষা চুক্তি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে।

বিষয়টি আরও জটিল করে তুলেছে চলমান ‘কাতারগেট’ তদন্ত। এই তদন্তে নেতানিয়াহুর দুই শীর্ষ সহকারীকে ইতিমধ্যে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা কাতারের স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে ইসরায়েলের ভেতরে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করেছেন এবং এ জন্য ঘুষ গ্রহণ করেছেন।

যদিও প্রধানমন্ত্রী নেতানিয়াহু এই তদন্তকে ‘রাজনৈতিক ষড়যন্ত্র’ বলে দাবি করেছেন, তবে কাতারের বিরুদ্ধে প্রকাশ্যে কোনো সমালোচনা না করায় তিনি নিজেই এখন সমালোচনার মুখে পড়েছেন।  

এদিকে এই চুক্তির ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে এলবিট সিস্টেমস জানায়, তাদের সব আন্তর্জাতিক কার্যক্রম ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ও বিধিনিষেধ মেনে পরিচালিত হয়। অন্যদিকে রাফায়েল বলেছে, তারা কোনো ব্যবসায়িক অংশীদার সম্পর্কিত তথ্য প্রকাশ করে না, তবে সর্বোচ্চ আন্তর্জাতিক মান মেনে ও রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ আইনের আওতায় তারা কাজ করে আসছে।

এ বিষয়ে ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

সূত্র: জেরুজালেম পোস্ট

এমএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।